Search Suggest

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তালাক হলে সন্তান কার কাছে থাকবে

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কারণে অকারণে আজকাল খুব বেশি পরিমাণে তালাকের ঘটনা ঘটে। কিন্তু তালাক কার্য্যকর হলে সন্তান কার নিকট মানুষ হবে এই নিয়ে দেখা দেয় বিড়ম্বনা বা জটিলতা। বাবা মায়ের মধ্যে তালাক হলে সন্তান অনেক বেশি অসহায় হয়ে পড়ে এবং মা বাবার এই তালাক সন্তানের সুষ্ঠু ভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তালাক হলে সন্তান কে কাছে পাওয়ার ক্ষেত্রে বাবা মায়ের যতটা না ভালবাসা কাজ করে তার চেয়ে বেশি কাজ করে নিজদের মধ্যে জিদ। বাবা মায়ের এই জিদের বলি হয় সন্তানেরা।


ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে

স্বামী স্ত্রীর তালাকের ক্ষেত্রে তাদের তাদের সন্তান যদি ছেলে হয় তাহলে ঐ সন্তান মুসলিম আইন অনুযায়ী তার সাত বছর বয়স পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তার মায়ের নিকট থাকবে এবং সাত বছর বয়সের পর তার বাবার নিকট থাকবে।


মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে

মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে ঐ মেয়ে সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত তার মায়ের নিকট থাকবে।  এটাই আইনের কথা। কারণ মেয়েরা পৃথিবীতে কারও কাছে নিরাপদ নয় যেমন তার মায়ের নিকট নিরাপদ। এজন্যই মেয়ের হিজানতের সর্বপ্রথম অধিকার তার মায়ের। মেয়ে সাবালিকা হওয়ার পর তার বাবার হেফাজতে থাকবে।

তবে ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে সাত বছর এবং মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে সাবালিকা হওয়ার যে বিধান তা সব সময় কার্যকর হয় না। সন্তানের হিজানতের ক্ষেত্রে সব সময় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় যে বিষয়টির উপর তাহলো সন্তানের কল্যাণ। অর্থাৎ সন্তান কার নিকট থাকলে মানুষের মত মানুষ হতে পারবে সেই বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। যার কাছে থাকলে সন্তানের সর্বাধিক কল্যাণ হবে আদালত তার নিকটই সন্তানের থাকার অনুমতি দিতে পারেন।

৯টি মন্তব্য

  1. পরিক্ষামুলক মন্তব্য
  2. আমি বিয়ে করেছি ২০০৫ সালে। দীর্ঘ ১২ বছর সংসার করার পর ২০১৭ সালে সুনির্দিষ্ট কোন কারন ছাড়াই আমার অবর্তমানে স্ত্রীর ভাইয়েরা এসে আমাকে কোনকিছু না জানিয়ে আমার স্ত্রীকে নিয়ে গেছে। আমাদের এক মেয়ে এবং এক ছেলে আছে আছে মেয়ের বর্তমান বয়স (১১) এবং ছেলের বয়স (৬) বছর। নিয়ে যাওয়ার পর আমি বহুবার স্ত্রী সন্তানদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য শশুড় বাড়িতে গিয়েছি, শুধু প্রথমবার স্ত্রী সন্তানদের সাথে আমি দেখা করতে পেরেছি। আমার স্ত্রী এবং শশুড় বাড়ির লোকজন আমার সাথে কোন খারাপ আচরন করেননি কিছুদিন পরে আসবে বলে আমাকে বিদায় করে দিয়েছে। এরপর যতবার গেছি স্ত্রীর ভাইয়েরা আমাকে আমার স্ত্রী সন্তানদের সাথে দেখে করতে এবং ফোনে কথা পর্যন্ত বলতে দেয়নাই। তারা আমার সাথে একেক বার একেক রকমের তালবাহানা কথাবার্তা বলে আমাকে বিদায় করে দিতো। কি কারনে দিবেনা যুক্তিসংগত কোন কারন দেখাতে পারেনি। আমি যতবারই আনতে গেছি প্রতিবারই মোবাইলে তাদের কথা রেকর্ড করেছি। এভাবে ১ বছর চলে গেলো ১ বছর পর স্ত্রী আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। কিন্তু আমার কাছে কোন ডিভোর্স লেটার আসেনি। ২ বছর হয়ে গেছে তারা আমার স্ত্রীর সাথে এমনকি আমার সন্তানদের সাথে পর্যন্ত দেখা করতে কথা …
  3. আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। আপনার স্ত্রী ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে থাকলে আপনাদের ডিভোর্স কার্যকর হয়ে গেছে। আপনার সন্তানদের কাস্টডি পেতে হলে আপনাকে পারিবারিক আদালতে সন্তানদের কাস্টডি চেয়ে মামলা দায়ের করতে হবে। এক্ষেত্রে ভাল একজন আইনজীবীর সহিত যোগাযোগ করুন।
  4. পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করলে কতদিনের মধ্যে সমাধান পাবো?
  5. কিছু দিনের মধ্যেই ফল পাবেন।
  6. স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যারা স্ত্রীকে একপর্যায়ে জোরপূর্বক তালাক দিতে রাজি করিছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নিতে পারবো?? যারা ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেকের নিজের মুখের স্বীকারোক্তিমুলক কথা আমার মোবাইলে রেকর্ডিং করা আছে।
  7. অডিও রেকর্ডিং আদালতে প্রমাণ হিসেবে ধরা হয় না। আপনার স্ত্রীকে যদি তালাক দিতে বাধ্য করে তাহকে আপনার স্ত্রী এখন চাইলেও তো আপনার কাছে আসতে পারে। আপনারা আবার বিয়ে করতে পারেন।পরবর্তীতে স্ত্রী চাইলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। আর আপনি বিয়ে বলবত থাকতে কেন আইনি পদক্ষেপ নিলেন না?
  8. বিভিন্ন অনলাইন পেইজে এই বিষয়ে অনেক উকিলদের মন্তব্য আমি পড়েছি, বেশীরভাগ উকিলদের মন্তব্য আইনে না গিয়ে পারিবারিকভাবে সমাধান করার জন্য। আইন আদালতে গেলে নাকি শতকরা ৯০ ভাগই সমাধান হয়না। এই ভয়ে আইনি পদক্ষেপ নেইনাই।
  9. তারা অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় কৌশল করে কাজটা করেনছেন। আইনি পদক্ষেপ নেয়ার মত কোনরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করেননাই। ডিভোর্স দিয়েছে এই কথা আমি ডিভোর্সের দেয়ার ৬ মাস পরে শুনেছি। তাছাড়া আমি এখন পর্যন্ত কোন ডিভোর্স লেটার পাইনাই। এবং সালিশি পরিষদ থেকেও এই ব্যাপারে আমাকে কোন কিছু জানায়নি।