Search Suggest

কোম্পানী গঠনের আদি-অন্ত (পর্ব-১)

কোম্পানী গঠনে ব্যক্তি নির্বাচন ও কোম্পানীর প্রকৃতি

যে কোন বৈধ উদ্দেশ্যেই কোম্পানী গঠন করা যেতে পারে। কোম্পানী একা গঠন করা যায় না। কোম্পানী হলো ব্যক্তির সমষ্টি। তাই কোম্পানী গঠনের প্রাথমিক ধাপ হলো একই উদ্দেশ্য সম্পন্ন কতিপয় ব্যক্তির কোম্পানী গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমরা জানি কোম্পানী সাধারণত দুই প্রকার হয়- পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী এবং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী।
একটি কোম্পানী গঠন করতে হলে কত জন ব্যক্তির প্রয়োজন হয় এবং কোম্পানির প্রকৃতি কি ধরনের হয় সে সম্পর্কে কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর ৫ ধারায় বিশদ বর্ণনা দেওয়া আছে। কোম্পানি আইনের ৫ ধারা মোতাবেক পাবলিক কোম্পানি গঠনের ক্ষেত্রে সাত বা ততোধিক ব্যক্তি এবং প্রাইভেট কোম্পানি গঠনের ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি আইনানুগ যে কোন উদ্দেশ্যে কোম্পানি গঠন করতে পারবে এবং কোম্পানি গঠন করতে চাইলে তারা তাদের নাম কোম্পানির সংঘ স্মারকে স্বাক্ষর করে এবং নিবন্ধীকরণ সংক্রান্ত কোম্পানি আইনের বিধান মোতাবেক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে সীমিতদায়সহ বা সীমিতদায় ছাড়া নিম্নোক্ত যে কোন কোম্পানি গঠন করতে পারবে।
যেমন-
(ক) শেয়ার দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানী, অর্থাৎ এমন কোম্পানি যার সংঘস্মারক দ্বারা কোম্পানির সদস্যগণের দায় এর পরিমান তাদের নিজ মালিকানাধীন অপরিশোধিত অংশ পর্যন্ত সীমিত রাখা হয়। অথবা,
(খ) গ্যারান্টি দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানীর অর্থ্যাৎ এমন কোম্পানি যার সদস্যগণের দায় এর পরিমান কোম্পানির সঙ্ঘ স্মারকে এমন ভাবে সীমিত রাখা হয় যে উক্ত কোম্পানী অবলুপ্তির ক্ষেত্রে তারা প্রত্যেকে উহার পরিসম্পদে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত অর্থ প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকেন। অথবা,

(গ) অসীমিতদায় কোম্পানীর অর্থাৎ এমন কোম্পানি যার সদস্যগণের দায় এর কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা থাকেনা।
 এছাড়াও আরেক ধরনের কোম্পানি দেখা যায় তা হল, যে সীমিত দায় সম্পন্ন কোম্পানিতে শেয়ার মালিকগণ নিজ নিজ শেয়ারের মূল্য ছাড়াও কোম্পানি গুটানো হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ দায় বহনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে থাকে। উক্ত কোম্পানিকে প্রতিশ্রুতি দ্বারা সীমিত দায় সম্পন্ন কোম্পানি বলে। এরূপ প্রতিশ্রুত দায় বহনের পরিমাণ পরিমেলে উল্লেখ থাকে। সঙ্গ স্মারকে এই ধরনের কোম্পানির নামের শেষে অবশ্যই লিমিটেড কথাটি লিখতে হবে। উপরোক্ত যে কোন ধরনের কোম্পানি গঠন করা যেতে পারে। তবে কোম্পানী গঠন করতে হলে ব্যক্তির সংখ্যা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।  পাবলিক কোম্পানির ক্ষেত্রে সাত বা ততোধিক এবং প্রাইভেট কোম্পানির ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি না হলে কোম্পানি গঠন করা যাবে না এবং কোম্পানি কোন অবৈধ দেশে গঠন করা যায় না। কোম্পানী গঠন করতে হলে অবশ্যই কোম্পানি গঠনের উদ্দেশ্য বৈধ হতে হবে। এর পরের পর্বে আমরা দেখব শেয়ার দ্বারা সীমিতদায় কোম্পানীর সংঘস্মারকে কোন কোন বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হয়।

আপনি কি আমাদের ব্লগে লিখতে আগ্রহী? তাহলে এখানে নিবন্ধন করুন।
আপনার কি কিছু বলার ছিল? তাহলে লিখুন নিচে মন্তব্যের ঘরে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন