Search Suggest

দুনিয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়ে সম্পত্তির বন্টন শিখুন (পর্ব-১)

চলুন প্রথমে জেনে নেই কোরআনিক অংশীদার কারা


বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ (স:) এর একটি বাণী দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। আমাদের প্রিয় নবী বলেছিলেন- তোমরা ফারায়েজ শেখ। কেননা ফারায়েজ হলো পৃথিবীর সকল জ্ঞানের অর্ধেক। কথাটি যে কত বড় বাস্তব সত্য তা আমরা সবাই কম বেশি জানি। সম্পদ বন্টনের নিয়ম কানুন শেখা আমাদের প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপরিহার্য । সম্পদ বন্টনের যে নিয়ম তা আমাদের কাছে অনেক জটিল মনে হয়। যার কারণে আমরা সম্পত্তি বন্টনের নিয়ম শিখতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। তবে হ্যা সম্পত্তি বন্টন বা মুসলিম ফারায়েজ শেখার আকাঙ্ক্ষা কিন্তু আমাদের সবার মনেই আছে। তা না হলে আপনি এই পোস্টটি পড়তেন না। বর্তমানে মুসলিম ফারায়েজ বা সম্পত্তির বন্টন শেখা এত্ত সহজ যে আপনি অবাক হয়ে যাবেন জানলে। 

সম্পত্তির বন্টন বা মুসলিম ফারায়েজ শিখতে হলে অবশ্যই আমাদের আগে কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে। মুসলিম ফারায়েজের মূল ভিত্তি হলো পবিত্র কোরআন। পবিত্র কোরআনের বিধান অনুসারেই মুসলমানদের সকল সম্পত্তির বন্টন করা হয়। পবিত্র কোরআনের সুরা নিসায় মুসলমানদের সম্পদের সুষম বন্টনের দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ১২ জন ব্যক্তির উল্লেখ করা হয়েছে যারা সর্বাগ্রে মৃত ব্যক্তির সম্পদের ভাগ পাবেন। তাদেরকে ভাগ দেওয়ার পরে অবশিষ্টভোগীরা সম্পত্তির ভাগ পাবেন। এই ১২ জন ব্যক্তি হলেন- পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী, কন্যা, দাদা, পুত্রের কন্যা, দাদী বা নানী, আপন বোন, বৈমাত্রেয় বোন, বৈপিত্রেয় ভাই, বৈপিত্রেয় বোন।

কোন মুসলমান ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তার সম্পত্তি বণ্টনের আগে কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়। এসকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর মৃতের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তির বন্টন করতে হয়।

মুসলিম আইনে (হানাফী) তিন শ্রেণীর উত্তরাধিকারী আছে। যথা:

১। অংশীদার (Sharer): কোরআনে যে ১২ জন অংশীদারের কথা বলা হয়েছে।

২। অবশিষ্টভোগী (Residuary): অংশীদারদের অংশ দেওয়ার পর যদি কোন সম্পদ অবশিষ্ট থাকে তাহলে সেই সম্পদ অবশিষ্টভোগীরা পান।

৩। দূরবর্তী ব্যক্তিগণ (Distant Kindred): যদি কোন অংশীদার এবং অবশিষ্টভোগী না থাকে তাহলে মৃত ব্যক্তির সাথে রক্তের সম্পর্ক আছে এমন ব্যক্তিরা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির মালিক হবেন।

যারা কোন অবস্থাতেই উত্তরাধিকারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন না


সম্পত্তির বন্টন হিসাব শেখার আগে আরেকটি বিষয় জেনে নিতে হবে। তাহলো কোন কোন ব্যক্তি কোন অবস্থাতেই উত্তরাধিকারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না তা আমাদেরকে জানতে হবে। বিষয়টি এজন্য উঠছে যে, আমরা যখন সম্পত্তির বন্টন বা ফারায়েজ করবো তখন দেখবো যে একজনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে আরেকজন সম্পদ প্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মুসলিম আইনে পাঁচ শ্রেণীর উত্তরাধিকারী আছেন, যারা কোন অবস্থাতেই উত্তরাধিকারের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন না। এদেরকে প্রাথমিক অংশীদার বলা হয়। এরা হলেন-

১। সন্তান (পুত্র বা কন্যা)

২। পিতা

৩। মাতা

৪। স্বামী

৫। স্ত্রী

আজ এই পর্যন্তই থাকুক। একদিনে বেশি শিখতে গেলে তালগোল পাকিয়ে যাবে। আগামী পর্বে আমরা শিখবো কে কত টুকু সম্পত্তির মালিক হবে।

আপনি কি আমাদের ব্লগে লিখতে আগ্রহী? তাহলে এখানে নিবন্ধন করুন।
আপনার কি কিছু বলার ছিল? তাহলে লিখুন নিচে মন্তব্যের ঘরে।

إرسال تعليق