কারণ এটা স্পষ্ট যে, কোনো আসামি যখন পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি প্রদান করে তখন ধরে নেয়া হয় যে ওই আসামি পুলিশি নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে বা পুলিশি নির্যাতনের ভয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। কিন্তু স্বীকারোক্তি হতে হবে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাভিত্তিক। স্বীকারোক্তিতে কোন জোর জবর্দস্তি চলবে না, কোন ভয় থাকবে না, কোন প্রকার প্ররোচনা থাকবে না বা লোভ-লালসা থাকবে না। সাক্ষ্য আইনের ২৬ ধারায় বলা হয়েছে যে, আসামি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি করলেও তা আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে উপরোক্ত দুটি ধারার কিছু ব্যতিক্রম ২৭ ধারায় লক্ষ্য করা যায়। আমাদের সাক্ষ্য আইনের ২৭ ধারায় বলা হয়েছে যে, যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে তার কোন স্বীকারোক্তির ফলে সংশ্লিষ্ট মামলার চোরাই মাল বা কোন তথ্য উদঘাটিত হয় তাহলে উদঘাটিত বিষয়ের সাথে আসামির বক্তব্যের যে অংশটুকুর মিল রয়েছে সে অংশটুকু আদালতে প্রমাণ করা যাবে অর্থাৎ প্রমাণ সাপেক্ষে আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- আসামি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে বলে যে সে কিছু চোরাই মাল বা আলামত করিমের কাছে বিক্রি করেছে বা রেখেছে। আসামিকে নিয়ে নিরপেক্ষ সাক্ষীর উপস্থিতিতে করিম থেকে উক্ত মালামাল বা আলামত উদ্ধার এর সাথে সম্পৃক্ত আসামির স্বীকারোক্তি আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া পুলিশ হেফাজতে আসামি কর্তৃক প্রদত্ত অন্য কোন স্বীকারোক্তি আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হয় না।
আপনি কি আমাদের ব্লগে লিখতে আগ্রহী? তাহলে এখানে নিবন্ধন করুন।
আপনার কি কিছু বলার ছিল? তাহলে লিখুন নিচে মন্তব্যের ঘরে।