Search Suggest

সেফটিক ট্যাংকে নিখোঁজ তরূণীর লাশ: সহপাঠী গ্রেফতার

 


যশোরের শার্শায় নিখোঁজের আট দিন পর সহপাঠীর বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে যশোর পলিটেকনিকের ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে শার্শার দক্ষিণ বুরুজবাগান এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সহপাঠী আহসান করিব অংকুরকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

র‌্যাব-৬ এর পরিচালক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ জানান, যশোর জেলার কলারোয়া এলাকার বাসিন্দা যশোর পলিটেকনিকের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্রী জেসমিন আক্তার (১৮) গত ২ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তার বাবা যশোর জেলার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি জিডি করেন। পরে অজ্ঞাত ফোন কলের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে ভারতে পাচার করা হবে বলে পরিবারকে জানানো হয়।

তিনি জানান, পরিবার বিষয়টি র‌্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পকে জানায়। তাৎক্ষণিক একটি দল তাকে উদ্ধারে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে যশোরের শার্শা থানাধীন দক্ষিণ বুরুজবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি আহসান কবির অংকুরকে (২০) গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ভুক্তভোগীর সঙ্গে সে যশোর পলিটেকনিকে চতুর্থ সেমিস্টারে পড়ালেখা করতো। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত কিছু দিন থেকে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। আসামি ভুক্তভোগীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২ ফেব্রুয়ারি বিকাল দেড়টার দিকে আসামি নিজ বাসায় ভুক্তভোগীকে ডেকে নিয়ে কৌশলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধসহ মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে। হত্যার পরে লাশ গুম করার জন্য বস্তায় ভরে আসামির বাসার সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে দেয়। 

তিনি আরও জানান, আসামির স্বীকারোক্তিমূলে ওই সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই ছাত্রীর লাশ ও ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার আসামি ও উদ্ধার আলামত যশোর জেলার শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। র‌্যাবের সহায়তায় ভুক্তভোগীর পরিবার ওই ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে।

সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন