Search Suggest

তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ক শুনানি ২৯ মার্চ

 


জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন। মামলায় তারেক-জোবায়দা পলাতক থাকায় তাদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করেন আদালত। 

গেজেটের উদ্ধৃতি দিয়ে বিচারক বলেন, এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। তারা বিদেশে চলে যাওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিশকে তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হলেও পুলিশ তা করতে ব্যর্থ হয়। উপস্থিতির সুযোগ না থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই তাদের বিরুদ্ধে বিচার চলবে।

দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো.আছাদুজ্জামান। 

গেজেটে বলা হয়, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালতের বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাদের আগামী ধার্য তারিখের (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পাদন করা হবে।

গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‌‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট একইসঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন