সাক্ষ্য আইনের ৪ ধারার ব্যাখ্যা May Presume
সাক্ষ্য আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী, যখন এই আইনে বলা হয় যে কোনো একটি বিষয় ধরে নেওয়া যেতে পারে, তখন আদালত সেই বিষয়টিকে প্রমাণিত বলে গণ্য করতে পারে বা প্রমাণ দাবি করতে পারে।
May Presume বিষয়টিকে প্রমাণিত বলে গণ্য করা
এই ক্ষেত্রে, বিপক্ষ পক্ষ এই বিষয়টি ভুল প্রমাণ না করলে আদালত তাকে সত্যই ঘটেছে বলে বিবেচনা করবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো ব্যক্তি চুরির পরপরই চুরি করা জিনিসের দখলে থাকে, তবে ধরে নেওয়া হবে যে সেই ব্যক্তিই সেই জিনিস চুরি করেছে অথবা জেনে শুনে চুরি করা জিনিস গ্রহণ করেছে।
এই নিয়মের অধীনে, যদি পুলিশ আলীর কাছে গোলাপের হার খুঁজে পায়, যা গতকাল রাতে রানুর বাড়ি থেকে চুরি হয়েছিল, তাহলে আদালত ধরে নেবে যে আলীই চুরি করেছে। তবে, আলী যদি প্রমাণ করতে পারে যে সে বাজার থেকে হারটি কিনেছে, তাহলে ধারণাটি ভুল প্রমাণিত হবে।
প্রমাণ দাবি করা
এই ক্ষেত্রে, আদালত বিষয়টি প্রমাণিত করার জন্য উভয় পক্ষের কাছ থেকে প্রমাণ দাবি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো ব্যক্তি কোনো চুক্তি করার জন্য জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়, তবে আদালত জালিয়াতি প্রমাণিত করার জন্য উভয় পক্ষের কাছ থেকে প্রমাণ দাবি করতে পারে।
এই নিয়মের অধীনে, যদি রফিকা দাবি করেন যে মমিন তাকে তার জমি বিক্রি করার জন্য জোর করেছেন, তাহলে আদালত উভয় পক্ষের কাছ থেকে প্রমাণ দাবি করবে এবং এরপরই রফিকার অভিযোগ সত্য কিনা তা নির্ধারণ করবে।
উভয় ক্ষেত্রের মধ্যে পার্থক্য:
ধরে নেওয়া বিষয়টিকে প্রমাণিত বলে গণ্য করার ক্ষেত্রে, বিপক্ষ পক্ষের প্রমাণ দিতে হবে যে বিষয়টি সত্য নয়। প্রমাণ দাবি করার ক্ষেত্রে, উভয় পক্ষকে প্রমাণ দিতে হবে যে তাদের দাবি সত্য।
May Presume এর সুবিধা
আইন প্রয়োগ সহজতর হয়: ধরে নেওয়া বিষয়টিকে প্রমাণিত বলে গণ্য করার ক্ষেত্রে, বিপক্ষ পক্ষকে প্রমাণ দিতে হয় না, তাই আইন প্রয়োগ সহজতর হয়। এতে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর হতে পারে।
ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়: প্রমাণ দাবি করার ক্ষেত্রে, আদালত উভয় পক্ষের কাছ থেকে প্রমাণ দাবি করতে পারে। এতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
May Presume এর অসুবিধা
অন্যায় হতে পারে: ধরে নেওয়া বিষয়টি সত্য না হলে, বিপক্ষ পক্ষ অন্যায়ের শিকার হতে পারে।
বিচার প্রক্রিয়া ধীর হতে পারে: প্রমাণ দাবি করার ক্ষেত্রে, উভয় পক্ষকে প্রমাণ দিতে হয়, তাই বিচার প্রক্রিয়া ধীর হতে পারে।
আইনের উদ্দেশ্য:
এই আইনের উদ্দেশ্য হলো, আইন প্রয়োগকে সহজতর করা এবং বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করা। ধরে নেওয়া বিষয়টিকে প্রমাণিত বলে গণ্য করার ক্ষেত্রে, বিপক্ষ পক্ষকে প্রমাণ দিতে হবে না, তাই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর হতে পারে। প্রমাণ দাবি করার ক্ষেত্রে, উভয় পক্ষকে প্রমাণ দিতে হবে, তাই বিচার প্রক্রিয়া কিছুটা ধীর হতে পারে। তবে, এই ক্ষেত্রে আদালত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য উভয় পক্ষের কাছ থেকে প্রমাণ দাবি করতে পারে।