Search Suggest

দেনমোহরের দাবি নিয়ে হাইকোর্ট এর রায় | নিকাহনামার মাধ্যমে সম্পত্তি হস্তান্তরের বৈধতা

দেনমোহর বকেয়া দেনমোহর জমি হস্তান্তর নিবন্ধন আইন, 1908 পারিবারিক আদালত মুসলিম পারিবারিক আইন হাইকোর্ট বাংলাদেশ বিবাহ স্বামী স্ত্রী

 


দেনমোহরের সংজ্ঞা

দেনমোহর হলো বিয়ের চুক্তির অংশ হিসেবে স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী যে অর্থ বা সম্পত্তি পায়। এটি স্ত্রীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রদান করা হয়।

দেনমোহর কী তা পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ বা মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১-এ সংজ্ঞায়িত হয়নি। তবে, মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১-এর ধারা ১০ অনুসারে, যদি নিকাহনামা-তে দেনমোহরের পরিমাণ এবং পরিশোধের পদ্ধতি উল্লেখ করা না থাকে, তাহলে সম্পূর্ণ দেনমোহর পরিমাণ দাবি করা যাবে।

দেনমোহরের গুরুত্ব

ইসলামী আইনে দেনমোহর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি বিয়ের চুক্তিকে শক্তিশালী করে এবং স্ত্রীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। দেনমোহর কেবল আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে না, বরং বিবাহের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান এবং দায়বদ্ধতার প্রতীক হিসেবেও কাজ করে।

দেনমোহরের ধরন

দেনমোহর সাধারণত দুই ধরনের হয়:

  • তাৎক্ষণিক দেনমোহর: এটি বিয়ের সময়ই স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী পায়।

  • বিলম্বিত দেনমোহর: এটি বিয়ের পর যেকোনো সময় স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী পায়।

দেনমোহর হিসেবে অর্থ, সম্পত্তি, এমনকি গৃহস্থালির আসবাবও গৃহীত হতে পারে। কুরআনে, "সাধ্যম অনুযায়ী উত্তম উপহার" দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উক্ত নির্দেশনা থেকে বোঝা যায় যে, দেনমোহরের পরিমাণ স্বামীর আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে এবং এটি উভয় পক্ষের সম্মতির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়।

দেনমোহরের দাবির আইনগত ভিত্তি

বাংলাদেশে, দেনমোহরের দাবি একটি আইনগত অধিকার। বিবাহবিচ্ছেদ, স্বামীর মৃত্যু, বা স্বামীর পক্ষ থেকে দেনমোহর প্রদানে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে স্ত্রী আদালতে দেনমোহর দাবি করতে পারে।

ইসলামী আইনে জমি দেনমোহর হিসেবে গৃহীত হতে পারে, তবে নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে। এই শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • জমির মালিকানা স্পষ্ট থাকা

  • হস্তান্তর প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়া

  • স্ত্রী উক্ত জমি গ্রহণ করতে সম্মত হওয়া

দেনমোহর দাবি করার প্রক্রিয়া

দেনমোহর দাবি করার জন্য, স্ত্রীর নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

  1. পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করা: স্ত্রীর প্রথমে পারিবারিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করতে হবে। মামলায়, তাকে দেনমোহরের পরিমাণ এবং পরিশোধের পদ্ধতি উল্লেখ করতে হবে।

  2. আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ প্রদান করা: আদালতে মামলা দায়ের করার পর, স্ত্রীর আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ প্রদান করতে হবে। এই সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে, তাকে তার দাবির সমর্থন প্রমাণ করতে হবে।

  3. আদালতের রায় গ্রহণ করা: সাক্ষ্য প্রমাণ বিবেচনা করে, আদালত একটি রায় দেবে। রায়ে, আদালত দেনমোহরের পরিমাণ এবং পরিশোধের পদ্ধতি নির্ধারণ করবে।

উদাহরণ

ধরুন, একজন স্ত্রী তার স্বামীর সাথে বিবাহের সময় মৌখিকভাবে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর চুক্তিবদ্ধ হয়। বিবাহের পর, স্বামী দেনমোহর প্রদান করতে অস্বীকার করে। এই ক্ষেত্রে, স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারেন। মামলায়, আদালত স্ত্রীকে দেনমোহর প্রদানের আদেশ দিতে পারে।

দেনমোহর দাবি করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হবে:

  • দেনমোহরের পরিমাণ: দেনমোহরের পরিমাণ কত? যদি নিকাহনামায় দেনমোহরের পরিমাণ উল্লেখ করা না থাকে, তাহলে সম্পূর্ণ দেনমোহর দাবি করা যাবে।

  • দেনমোহরের পরিশোধের পদ্ধতি: দেনমোহর কি এককালীন প্রদান করা হবে নাকি কিস্তিতে প্রদান করা হবে?

  • স্বামীর আর্থিক অবস্থা: স্বামীর আর্থিক অবস্থা কেমন? দেনমোহর প্রদানের জন্য তার সামর্থ্য আছে কিনা?


নিকাহনামার মাধ্যমে জমি হস্তান্তর

আমরা এখানে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের একটি রায়ের আলোকে আলোচনা করবো। উক্ত মামলা হতে জানা যায় যে, একজন নারী জেলা জজ আদালতে একটি সম্পত্তির বাটোয়ারার মামলা দায়ের করেন। তার দাবি তিনি উক্ত সম্পত্তি তার দেনমোহরের একটি অংশ হিসেবে পেয়েছেন। উক্ত সম্পত্তিটি তার স্বামীর পক্ষে তার শশুর তাকে নিকাহনামার ১৬ নং কলামের মাধ্যমে হস্তান্তর করেছে। ট্রায়াল কোর্ট তার রায়ে নিকাহনামার ১৬ নম্বর কলামে উল্লিখিত জমি হস্তান্তরের বৈধতা স্বীকার করে এবং বজায় রেখে বাদীর পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু, আপিল প্রক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্তটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, ফলে হাই কোর্ট বিভাগ ইসলামী আইন এবং বৃহত্তর আইনগত কাঠামোর আলোকে এই ধরনের জমি হস্তান্তরের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।


আরও বিস্তারিতভাবে জানা যাক-

মামলার বিবরণ

একটি মামলায়, একজন স্ত্রী সম্পত্তি বন্টনের জন্য মামলা করেছিলেন। স্ত্রীর দাবি ছিল যে, তার স্বামীর পিতা বিয়ের সময় তাকে ০.০৯ একর জমি দেনমোহর হিসেবে দিয়েছিলেন। স্বামীর পিতা জমিটি নিবন্ধন করেননি, কিন্তু নিকাহনামায় এটি উল্লেখ করা হয়েছিল।

মামলার বিচার

ট্রায়াল কোর্ট স্ত্রীকে জয়ী ঘোষণা করে এবং তাকে দেনমোহরের পরিমাণের সমপরিমাণ জমি প্রদানের নির্দেশ দেয়। স্বামী আপিল করেন এবং হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।

হাইকোর্টের রায়

হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রায় দেযন যে, জমিটি দেনমোহরের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে, জমিটি নিবন্ধন না করায় তা কার্যকর হবে না। হাইকোর্ট রায়ে আরও বলেন যে, স্ত্রীকে দেনমোহরের জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা করতে হবে।

হাইকোর্টের রায়ের বিশ্লেষণ

দেনমোহরের আইনি প্রকৃতি

হাইকোর্ট রায় দেন যে, দেনমোহর হল বিবাহের বিনিময়ে স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীর প্রাপ্য একটি মৌলিক অধিকার। এটি স্বামীর একটি ঋণ যা তিনি অবশ্যই পরিশোধ করতে বাধ্য।

দেনমোহরের আইনি প্রকৃতি সম্পর্কে হাইকোর্টের রায়টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নিশ্চিত করে যে, স্ত্রীরা বিবাহের বিনিময়ে তাদের দেনমোহর পাওয়ার অধিকার রয়েছে। হাইকোর্ট রায় দেয় যে, জমি হস্তান্তরের জন্য নিবন্ধন আইন, ১৯০৮-এর বিধানাবলী মেনে চলতে হবে। জমিটি নিবন্ধন না করা হলে তা কার্যকর হবে না।

জমি হস্তান্তরের আইন সম্পর্কে হাইকোর্টের রায়টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নিশ্চিত করে যে, জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আইনের বিধানাবলী মেনে চলতে হবে। এটি জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের ক্ষেত্রে আইনের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

মামলার প্রভাব

হাইকোর্টের রায়টি বাংলাদেশের দেনমোহর আইনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি নিশ্চিত করে যে, স্ত্রীরা বিবাহের বিনিময়ে তাদের দেনমোহর পাওয়ার অধিকারী। এটি জমি হস্তান্তরের আইনের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি নিশ্চিত করে যে, জমি হস্তান্তরের জন্য আইনের বিধানাবলী মেনে চলতে হবে।

মামলার শিক্ষা

এই মামলা থেকে আমরা নিম্নলিখিত শিক্ষা নিতে পারি:

  • দেনমোহর হল বিবাহের বিনিময়ে স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীর প্রাপ্য একটি মৌলিক অধিকার।

  • জমি হস্তান্তরের জন্য নিবন্ধন আইন, 1908-এর বিধানাবলী মেনে চলতে হবে।

  • দেনমোহরের জন্য স্ত্রীর অবশ্যই পারিবারিক আদালতে মামলা করতে হবে।

উপরোক্ত মামলাটি বিস্তারিত পাঠ করে দেখা যায় নিকাহনামার ১৬ নম্বর কলাম এই আইনি লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়েছে এবং স্ত্রীর দাবির ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। এটি শুধুমাত্র একটি কলাম নয়; এটি একটি ঘোষণা, কালি দিয়ে খোদাই করা, স্ত্রীর স্বামীর পিতার পক্ষ থেকে দেনমোহরের অংশ হিসেবে ০.০৯ একর জমি হস্তান্তরের। এই জমি হস্তান্তর, বিবাহ চুক্তির মূল কাঠামোর মধ্যে বোনা, বিতর্কের মূল হয়ে ওঠে, যা ইসলামী নীতি এবং বাংলাদেশের আইনি বিধিগুলির অধীনে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার দাবি করে।

ইসলামী বিবাহে নিকাহনামার গুরুত্বকে অতিরঞ্জিত করা যায় না। এটি একটি পবিত্র চুক্তি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং দায়বদ্ধতার সাক্ষ্য। এই ক্ষেত্রে, ১৬ নম্বর ধারা একটি কেবলমাত্র কলাম হিসাবে তার ভূমিকা অতিক্রম করে এবং একটি সংজ্ঞায়িত উপাদানে রূপান্তরিত হয়, স্পষ্টভাবে দেনমোহরের প্রকৃতিকে রূপরেখা দেয় - শুধুমাত্র অর্থের পরিমাণ বা চলমান সম্পত্তি নয়, বরং একটি বাস্তব জমির টুকরো।

ট্রায়াল কোর্ট, এই ধারাটির ওজন এবং এর ইসলামী নীতির সাথে সামঞ্জস্যকে স্বীকৃতি দিয়ে, এর বৈধতা বহাল রেখেছে, স্ত্রীরকে বিতর্কিত জমির মালিকানা দিয়েছে। যাইহোক, হাইকোর্ট বিভাগে মামলাটি উঠলে আইনি দৃশ্যপট পরিবর্তিত হয়। স্পষ্টতই সরল জমি হস্তান্তর জটিলতার পর্দা দিয়ে আবৃত হয়ে ওঠে, আদালতকে ইসলামী দেনমোহর নীতি এবং বাংলাদেশের সম্পত্তি 

হাইকোর্ট বিভাগ এই মামলায় দেনমোহরের জন্য জমি হস্তান্তরের বৈধতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। আদালত ইসলামী নীতিগুলির একটি বিশদ পর্যালোচনা করেছেন এবং জমি দেনমোহরের একটি বৈধ রূপ হতে পারে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আদালত আরও সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে স্বামীর পিতা তার ছেলের পক্ষ থেকে দেনমোহর হিসাবে জমি হস্তান্তর করতে পারেন।

আদালতের এই সিদ্ধান্তটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ইসলামী আইন এবং বাংলাদেশের আইনের মধ্যে সমন্বয়ের একটি উদাহরণ। আদালত ইসলামী নীতিগুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছে, কিন্তু একই সাথে এটি ধর্মনিরপেক্ষ আইনের প্রয়োজনীয়তাগুলিও বিবেচনা করেছে।

নিবন্ধন আইন, ১৯০৮: জমি হস্তান্তরের প্রভাব

নিকাহনামার ১৬ নম্বর কলাম অনুসারে জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ১৯০৮ সালের নিবন্ধন আইনের প্রভাব নিয়ে আদালত আলোচনা করেছেন। নিকাহনামা মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইনের অধীনে নিবন্ধিত হলেও, আদালত লক্ষ্য করেছে যে এটি ১৯০৮ সালের নিবন্ধন আইনের বিধান অনুসারে নিবন্ধিত ছিল না। এই ত্রুটি নিবন্ধন আইনের প্রয়োজনীয়তাগুলির ক্ষেত্রে সম্পত্তির হস্তান্তরকে শূন্য করে দিয়েছে। আদালত নিবন্ধন প্রক্রিয়াগুলির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ার গুরুত্বকে Underline করেছেন, জোর দিয়েছেন যে এই বিধানগুলির সাথে সঙ্গতি না রাখা জমি হস্তান্তরের বৈধতাকে কীভাবে প্রভাবিত করে।

হাইকোর্ট বিভাগের ১৭A এবং ১৭B ধারার উপর রায়

১৯০৮ সালের নিবন্ধন আইনের ১৭A এবং ১৭B ধারাকে হাইকোর্ট বিভাগ জমি হস্তান্তরের বৈধতা মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে বিশ্লেষণ করেছেন। আদালত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে নিকাহনামার ১৬ নম্বর ধারা অনুসারে হস্তান্তর এই নির্দিষ্ট ধারার সাথে সঙ্গতি না থাকার কারণে উক্ত হস্তান্তর অবৈধ ছিলো। যে কোন সম্পত্তি হস্তান্তর করতে হলে উক্ত সম্পত্তির দলিল রেজিষ্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। রেজিষ্ট্রেশন আইন অনুযায়ী সম্পত্তির রেজিষ্ট্রেশন ব্যতীত সম্পত্তি হস্তান্তর আইন অনুসারে কোন সম্পত্তি বৈধভাবে হস্তান্তরিত হয় না। নিকাহনামায় যে সম্পত্তির বর্ণনা করা হয়েছে উক্ত সম্পত্তি দেনমোহরের অংশ হিসেবে স্ত্রী পাওয়ার হকদার। কিন্তু শুধুমাত্র নিকাহনামায় কোন সম্পত্তির উল্লেখ থাকলেই উক্ত সম্পত্তির মালিকানা অর্জিত হয়না। মালিকানা অর্জিত হয় উত্তরাধীকার সুত্রে বা নিবন্ধিত দলিল এর মাধ্যমে। 

পারিবারিক আদালতের এখতিয়ার

পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ এর অধীনে প্রতিষ্ঠিত পারিবারিক আদালত পারিবারিক বিষয়গুলি, বিশেষ করে দেনমোহর দাবির ক্ষেত্রে সঠিক ফোরাম হিসাবে বিবেচিত হয়। এই আদালতকে অন্যান্য আইনের উপর প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এবং পারিবারিক বিষয়গুলি সম্পর্কিত বিষয়ে নির্দিষ্ট কর্তৃত্ব রয়েছে। উল্লেখিত মামলার বাদী অর্থাৎ স্ত্রীর উচিত ছিলো দেনমোহর আদায়ের জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করা এবং সম্পত্তির উপর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু তিনি সহকারী জজ আদালতে বাটোয়রা মামলা করেছেন। যা সঠিক ফোরাম হিসেবে বিবেচিত হয় না। 

মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি

আদালত স্ত্রীর অনুরোধে তার মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি দিয়েছেন এবং তাকে পারিবারিক আদালতে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, কারণ এটি স্ত্রীর দেনমোহর দাবি আদায়ের জন্য আরও উপযুক্ত পথ প্রদান করে।

এই মামলায় আদালত এ্যামিকাস কিউরি হিসেবে দুজন ইসলামিক পন্ডিত এবং একজন বিশিষ্ট আইনজীবীকে নিয়োগ প্রদান করেন। তাদের মূল্যবান মতামত অনুসারে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ এই গুরুত্বপূর্ণ রায় প্রদান করেন। ইসলামী আইন অনুসারে, পিতা তার পুত্রের পক্ষ থেকে দেনমোহর পরিশোধ করতে পারেন এই বিষয়টিরও স্বীকৃতি দিয়েছেন আদালত। [16 SCOB (2022) HCD 62]


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন