Search Suggest

বন্ধুত্বের এমন বন্ধন অটুট থাকুক সারাজীবন


‘পুলিশকে সহায়তা করুন, পুলিশের সেবা গ্রহণ করুন’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশব্যাপি শুরু হয়েছে পুলিশ সেবা সপ্তাহ ২০১৯। চলবে ২রা ফেব্রুয়ারী ২০১৯ পর্যন্ত।এ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুুলিশ সারাদেশ ব্যাপি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনাসভা করেছে। পাশাপাশি জনসচেতনা বাড়াতে নিয়েছে নানামুখি উদ্যোগ। টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে পেলাম অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা  নেয়া হচ্ছে।পাশাপাশি গাড়ির কাগজপত্র ও লাইসেন্স ঠিক থাকলে চালকদের ফুল দিয়ে বরণ করছে পুলিশ।  জনগণকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়াতে এমন অনুপ্রেরণামূলক উদ্যোগ দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। এক বালতি দুধের মধ্যে এক ফোটা গোচুনা পড়লে নাকি পুরো দুধটাই নষ্ট হয়ে যায়। তখন দুধের আর কোন মূল্য থাকে না। বাংলাদেশ পুলিশের ক্ষেত্রে এই উপমাটি মিলেমিশে যেন একাকার হয়ে গেছে। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু এই কথাটিই আজ বিলীন হওয়ার পথে।বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের বিপরীতে কয়েক লক্ষ পুলিশ সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছে। কতিপয় অসৎ পুলিশের কারণে এই কয়েক লক্ষ পুলিশের ভাবমূর্তি তলানিতে ঠেকেছে। যে পুলিশকে দেখে সাধারণ মানুষের স্বস্তি পাওয়ার কথা, ভয় দুর হওয়ার কথা এবং সন্ত্রাসীদের ভীত সন্ত্রস্ত হওয়ার কথা বাস্তবে কিন্তু সেটা হচ্ছে না। বরং পুলিশকে দেখে সাধারণ জনগণের ভয় যেন আরও বেড়ে যায়। আইনি সমস্যার সমাধানের জন্য যেখানে নিশ্চিন্তে থানায় ছুটে যাওয়ার কথা সেখানে সাধারণ জনতা থানায় যেতে সাহস পায় না পুলিশ কর্তৃক সৃষ্ট নতুন কোন সমস্যায় জড়িয়ে পড়ার ভয়ে। অথচ এমন হওয়ার কথা ছিল না। মুষ্টিমেয় কিছু পুলিশের অসততার কারণে আজ এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে কয়েক লক্ষ পুলিশের সবাই যে সৎ হবে, ভাল হবে এমন টা আশা করা বোকামী। কারণ শুধু পুলিশেই নয় প্রত্যেক পেশাতেই কিছু কুলাঙ্গার থাকে যাদের কারণে ‍পুরো পেশাটারই বদনাম হয়। এই সব কুলাঙ্গারদের খুজে বের করে যথাপোযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
[post_ads]
মুষ্টিমেয় অসৎ পুলিশকে এক পাশে রেখে যদি একটু নিরপেক্ষভাবে চিন্তা ভাবনা করা যায় তাহলে সবাই এই কথাতে একমত পোষণ করবেন যে পুলিশ আসলেই জনগণের বন্ধু। এমন বন্ধু যারা নিজেরা না ঘুমিয়ে সারারাত পাহারা দিয়ে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, ধুলা ময়লায় জর্জরিত হয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করে।সন্ত্রাসীদের কঠোরভাবে মোকাবেলা করে রাষ্ট্রের শান্তিশৃ্ঙ্খলা বজায় রাখে। নিজেদের জীবনকে  ঝুকির মধ্যে ফেলে মাদক ব্যবসায়ীদেরকে নিশ্চিন্ত করার মাধ্যমে তরুণ ও যুব সমাজের জীবনকে ঝুকির হাত থেকে রক্ষা করে। ঐ ব্যক্তি পুলিশের প্রকৃত বন্ধুত্ব উপলব্ধি করতে পারে যে অপহৃত হওয়ার পর পুলিশ তাকে জীবিত উদ্ধার করে বা সেই বাবা মা বুঝতে পারে যাদের অপহৃত সন্তানকে পুলিশ জীবিত উদ্ধার করে তাদের বুকে ফিরিয়ে দেয়। বা সেই ব্যক্তি উপলব্ধি করতে পারে যাকে গুরুত্বর বিপদ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। এছাড়াও পুলিশ হেল্পলাইন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে সেবাপ্রাপ্তি, আইজিপি কমপ্লেইন সেল, নারী ও শিশুবান্ধব পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার ও অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সেবাসহ নানামুখি সেবা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের প্রতি তাদের বন্ধুত্বের নমুনার স্বাক্ষর রাখছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু এমন বন্ধুত্বের নমুনা চাপা পড়ে যাচ্ছে অসৎ পুলিশের অসৎ কর্মকান্ডের কারণে।
[post_ads_2]
দেশব্যাপি পুলিশ সেবা সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য নানামুখি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি অসৎ পুলিশের লাগাম টেনে ধরে পুলিশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার জন্যও নেয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। তবে পুলিশকে পুরোপুরিভাবে বন্ধু হিসেবে পেতে চাইলে সাধারণ জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে সহায়তার মন মানসিকতা নিয়ে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যায় ২৪ ঘণ্টা। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে 'আইজিপিস কমপ্লেইন সেল' ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণের জন্য। জনসাধারণ পুলিশ সদস্যের যেকোনো অপেশাদার ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সরাসরি, কুরিয়ার সার্ভিস ও ডাকযোগে অথবা মোবাইল ফোনে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত ডিআইজি (ডিএন্ডপিএস-১) এর তত্ত্বাবধানে সেলটি পরিচালিত হয়ে থাকে। ০১৭৬৯৬৯৩৫৩৫, ০১৭৬৯৬৯৩৫৩৬ মোবাইল নম্বরে এবং complain@police.gov.bd ই-মেইলে এই সেলে অভিযোগ করা যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ত্বড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহল। পুলিশ জনগণের প্রকৃত বন্ধু হয়ে ওঠার জন্য গ্রহণ করছে নানা মুখি কার্যক্রম। এই কার্যক্রম বা পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সাধারণ জনগণের সহায়তা থাকলে পুলিশ-জনতার বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট থাকবে সারাজীবন।
  • [accordion]
    • লেখক সম্পর্কে জানুন
      • পোস্টটি লিখেছেন- [ মোঃ আজাদুর রহমান ##pencil##] তিনি লিগ্যাল ভয়েস ব্লগের এডমিন ও সম্পাদক। পেশাগত জীবনে তিনি আইনজীবী হিসেবে ঢাকা জজ কোর্টে কর্মরত আছেন।
    • ফ্রি আইনি পরামর্শ পাবেন যেভাবে
      • আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠনের মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু হয়েছে। যারা শহরে বসবাস করেন তারা কোন আইনি জটিলতায় পড়লে খুব সহজেই একজন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে আইনি সমস্যার সমাধান করতে পারেন। কিন্তু যারা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন তারা কোন আইন সমস্যায় পড়লে দিশেহারা হয়ে পড়েন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাসের কারণে আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ করা দুরুহ হয়ে পড়ে। ফলে সমস্যা দিন দিন জটিল হতে থাকে। সঠিক পরামর্শের অভাবে অনেকেই সঠিক পদক্ষেপ না নিয়ে পরিস্থিতি আরও বেশি জটিল করে তোলেন। ফলে সমস্যা থেকে উত্তরণের কোন পথ তো পানই না উল্টো মানসিক ও শারিরীকভাবে ভেঙে পড়েন। তাদের কথা মাথায় রেখে লিগ্যাল ভয়েস কর্তৃপক্ষ প্রশ্নোত্তর বিভাগ চালু করেছে। আপনি খুব সহজেই আমাদেরকে আপনার আইনি সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। পাবেন আইনি সমস্যা থেকে উত্তরণের সঠিক পথ। আমাদের প্রশ্নোত্তর বিভাগে যুক্ত হতে [ এখানে ক্লিক করুন। ] 
    • আপনিও লিখুন আমাদের ব্লগে!
      • সুপ্রিয় লিখিয়ে পাঠক! আপনি জেনে নিশ্চয় আনন্দিত হবেন যে, আইন সচেতন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের এই উদ্যোগ। চাইলে আপনিও হতে পারেন এই গৌরবের একজন গর্বিত অংশীদার। আমাদের ব্লগে নিবন্ধন করে আপনিও হতে পারেন আমাদের সম্মানিত লেখক। লিখতে পারেন আইন-আদালত, পরিবেশ, ইসলামী আইন যেমন কোরআন, হাদিসের আইনগত বিষয়, প্রাকৃতিক আইন, বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কিত প্রতিবেদন বা অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি, অন্যায়, দূর্নীতি, হয়রানী, ইভটিজিং, বেআইনী ফতোয়া, বাল্য বিবাহ ইত্যাদিসহ যাবতীয় আইনগত বিষয়াবলী নিয়ে। আমাদের ব্লগের সদস্য হোন আর হারিয়ে যান জ্ঞান বিকাশের এক উন্মুক্ত দুনিয়ায়!
    • আমাদের কথা
      • লিগ্যাল ভয়েস হলো দেশের  সর্ববৃহৎ এবং একমাত্র আইন সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজের মানুষ সচেতনভাবে কিংবা অসচেতনভাবে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আইনগত জটিলতায় পড়ে জীবন নষ্ট করে ফেলছে। অনেক সময় আইন না জানার কারণে আমাদেরকে বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। একটু আইন জানলে হয়তো এসব ভোগান্তি হতে নিজেকে রক্ষা করা যেত। আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ হলো আইন না জানা কোন অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ কেউ কোন অপরাধ করে যদি বলে আমি আইনটি জানতাম না। জানলে এই অপরাধ টি করতাম না। আইনে এই অজুহাতের কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই। কাজেই আইন জানা ছাড়া আমাদের অন্য কোন বিকল্পও নেই। দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আমাদের বিভিন্ন আইনী জটিলতায় পড়তে হয়। তাই আইন কানুন সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আবশ্যক। আইন জানা আমাদের জন্য এমন অপরিহার্য্য বিষয় হলেও আইন জানার জন্য আমাদের দেশে ভাল কোন প্ল্যাট ফর্ম নেই। বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজ গুলোর বিষয় আলাদা। তাই সাধারণ মানুষের দোর গোড়ায় টুকিটাকি আইন কানুন পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ২০১৮ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু। আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠন করাই লিগ্যাল ভয়েসের মূল উদ্দেশ্য। বিভিন্ন লেখনীর মাধ্যমে লিগ্যাল ভয়েস সাধারণ মানুষের আইন শেখার পিপাসা নিবারণ করে থাকে। এ ছাড়া লিগ্যাল ভয়েস যে কোন ধরনের আইনগত সমস্যায় বিনা খরচে পরামর্শ প্রদান করে থাকে। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকল পাঠককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ।

إرسال تعليق