Search Suggest

বিয়ে কি শুধুই চুক্তি? : প্রেক্ষিত পরকিয়া


ইসলামে বিয়েকে পবিত্র বন্ধন হিসেবে মনে করা হয় যা দুজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে একত্র করে। জন্ম দেয় ভালোবাসা, আস্হা, অনুভূতি কিংবা পরস্পর নির্ভরশীলতা।ইসলাম বিয়েকে কখনোই শুধু যৌনতার ছাড়পত্র হিসেবে দেখেনা বরং নৈতিকতার ভিত্তি হিসেবে দেখে যা একটা পরিবারকে নৈতিকতা আর মূল্যবোধের বিদ্যাপিঠে রুপান্তরিত করে।হিন্দু ধর্মেও বিয়েকে ধর্মীয় সেক্রামেন্ট বা পবিত্র কর্ম হিসেবে দেখা হয়। বিয়েকে কোন ধর্মই শুধুই চুক্তি মনে করেনা যতোটা বিধিবদ্ধ আইনে মনে করা হয়। এজন্যই মনে করা হয়না কারণ চুক্তিতে উভয় পক্ষই আপন স্বার্থের জন্য সদা তৎপর থাকে কিন্তু বিয়েতে স্বামী-স্ত্রী দুজন দুজনার স্বার্থান্বেষী নয় বরং একে অপরের পরিপূরক। কেননা পবিত্র কোরআনে স্বামী স্ত্রীকে পরস্পরের পোশাক-পরিচ্ছদ বলা হয়েছে। অর্থাৎ পোশাক ছাড়া যেমন চলাচল সম্ভব নয় তেমনি দাম্পত্য জীবনে স্বামী স্ত্রীকে ছাড়া কিংবা স্ত্রী স্বামীকে ছাড়া চলতে পারেনা।একজন সাবালক ছেলে বা মেয়ে যেমন নিজের পোশাকখানা সুন্দর রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করে,কোথাও ময়লা লাগতে দেয়না;স্বামী-স্ত্রীও তেমনি পরস্পররের সম্পর্কে কোনো ধুলো লাগতে দিবেনা।কিন্তু সমকালে বৈবাহিক সম্পর্কগুলো দেখে মনে হয় এটা যেন শুধুই চুক্তির সম্পর্ক যে যখন ইচ্ছা গড়লাম আবার খেলাঘরের মতো ভেঙ্গে দিলাম।
[post_ads]
বিয়েটা কোনভাবেই শুধুই চুক্তি নয়।চুক্তিতে কোনো পক্ষ কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে ক্ষতিপূরণ দিয়ে পার পাওয়া যেতে পারে কিংবা চুক্তির পরিসমাপ্তি ঘটানো যায় কিন্তু বিয়েটা পবিত্র এবং প্রেমময় বন্ধন যেখানে ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন আসার কথা নয় এমনকি অর্ধাঙ্গ বা অর্ধাঙ্গীর কোন একজন অনেক বড় বড় অমার্জিত ভুল করলেও। কারণ এ বন্ধন যে ভালোবাসা আর আবেগের জন্ম দেয় তার কাছে হিমালয়সম ভুলও তুচ্ছ হয়ে যায়। আবার কখনো কখনো তিল সমান বিশ্বাসঘাতকতাও বিষিয়ে তুলে সমগ্র জীবন; বন্ধনটা হয়ে পড়ে গলার কাঁটা। এর জন্য কি কোন ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট?

স্বামী বা স্ত্রী যদি পরকিয়ায় লিপ্ত হন সেটার সমাধান কি ক্ষতিপূরণে সম্ভব? কিংবা সেপারেশন বা বিচ্ছেদে সম্ভব- যখন লক্ষ-কোটি টাকার মোহরানার "টাইম বোমা" স্বামীর গলায় ঝুলে? 

বিচ্ছেদ হয়তো সমাধান কিন্তু হাদিসে দুটো বৈধ কাজকে নিকৃষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে- ১। ভিক্ষাবৃত্তি ২। বিবাহ বিচ্ছেদ।প্রকৃতপক্ষে বিয়ে চুক্তি থেকে অনেক উর্ধ্বে কারণ বিয়ে স্রষ্টার এ বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টির মহৎ উদ্দেশ্যকে ত্বরান্বিত করে।সুতরাং স্বামী বা স্ত্রীর একে অপরকে চিট, বিশ্বাসঘাতকতা কিংবা অসম্মানের মানসিকতায় স্রষ্টা মোটেও খুশি হন না।এ বন্ধন দৃঢ় হওয়া চাই প্রেম, ভালোবাসায়, আবেগে, শ্রদ্ধায়, বিশ্বস্হতায়, পরস্পরনির্ভরতায় এবং খুঁনসুটিতে। যাতে এ বন্ধনকে, গার্সিয়া মার্কোসের ভাষায়, মৃত্যুও ছিন্ন করতে না পারে।কিন্তু ডিভোর্স দেয়াটা এখন একটা ফ্যাশনে রুপান্তরিত হয়েছে যদিও এর পিছনে নানা কারণ রয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। প্রথম আলোর এক রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে ঢাকা শহরে প্রতিঘন্টায় একটা করে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে! যতো ঘটনা বা কারণই থাকুকনা কেন- এটা আমাদের সমাজব্যবস্থার জন্য ইতিবাচক নয়।
[post_ads_2]
বিচ্ছেদ তখনই সম্ভব যখন তিক্ততার পারদ উঠে চরমে কিংবা আস্হা বা বিশ্বাসের ভিত হয় নড়বড়ে অথবা দুজোড়া চোখে একই স্বপ্নের সৌধ বিনির্মাণের সাধ আর খেলা করেনা! কিন্তু এগুলোই কি একমাত্র কারণ? আমরা কি আমাদের সংস্কৃতিকে নিয়ে কখনো ভেবেছি? আমাদের সংস্কৃতি এখন ভিনদেশী কুসংস্কার কিংবা কুসংস্কৃতির চাকায় যে প্রতিনিয়ত পিষ্ট হচ্ছে- সেটা নিয়ে আমরা কতজন সচেতন? সুস্পষ্ট করে বললে ভারতীয় পরকিয়া নির্ভর সিরিয়ালে ভরে গেছে আমাদের বিনোদনের মাধ্যমগুলো। প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোও আমাদের যত্নে গড়া সম্পর্কগুলোতে আগাছা হয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত। ভার্চুয়াল জগতের তাড়নায় আমরা অসম্মান করছি আত্মিক সম্পর্কগুলোকে। বিজ্ঞান আমাদের বেগ বাড়িয়ে আবেগ কেড়ে নিচ্ছে প্রতিমুহূর্ত। প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিক স্কুলের ছেলেমেয়েদের হাতে বাবা- মায়েরা তুলে দিচ্ছে স্মার্টফোন কিংবা আইফোন। ফলে ছোট বয়স থেকেই ওরা বিপথে যাওয়ার সুযোগটা পেয়ে যাচ্ছে। আমরা নিজেরা এ ব্যাপারে কতটা সচেতন? বাবা- মা কিংবা বড় ভাই-বোন হিসেবে আমরা কতটুকু প্রস্তুত আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সচেতন করতে? আমরা কি তাদের পারিবারিক শিক্ষা, নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের শিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে পারছি? যদি না পারি তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে "সম্পর্কের" মূল্য হবে কলাহীন ছোলার মতো। বিবাহের মতো পবিত্র বন্ধনগুলো হয়ে পড়বে তথাকথিত চুক্তি। ফলে বাড়বে বিশ্বাসঘাতকতা কিংবা বিচ্ছেদ!

সম্পর্কের মূল্যকে যতোদিন আমরা যান্ত্রিক মন নিয়ে মূল্যায়ন করব; যতোদিন লেনদেনের নিক্তিতে পরিমাপ করবো, সামাজিক এবং আত্মিক বন্ধনগুলো ঠুনকো থেকে ঠুনকোতর হতে থাকবে ততোদিন! ডা: আকাশের মতো সম্ভাবনাময় তরুনরা রুপান্তরিত হতে থাকবে জাতীয় দীর্ঘশ্বাসে!
[post_ads]
যুক্তির খাতিরে বিয়েকে যদি শুধুই চুক্তি ভাবিও, সেখানে কোনপক্ষের ব্যাভিচার স্পষ্টতই সে চুক্তির লঙ্ঘণ। কিন্তু আমাদের দেশীয় আইন যখন কোন একটা "নির্দিষ্ট " পক্ষকে সে লঙ্ঘনের ( ব্যাভিচার) দায় থেকে অব্যাহতি দেয় (ধারা ৪৯৭, দন্ডবিধি) তখন এটা আইনের দ্বিচারিতা বা দ্বিমুখিতা বৈ কিছু নয়। অর্থাৎ কোন নারি স্বামীকে ঠকিয়ে ব্যাভিচার বা পরকিয়ায় লিপ্ত হলেও সে নারি অভিযুক্ত হবেন না এমনকি অপরাধের সহযোগী হিসেবেও নয় অথচ দেশীয় আইন বলছে সে নারি তার স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে যা একটা চুক্তি। আবার দন্ডবিধির ৪৯৪ ধারায় বলা হলো স্বামী বা স্ত্রীর কেউ স্বামী-স্ত্রী থাকা অবস্হায় অন্যকোন পুরুষ বা নারির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে সেটা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ যার শাস্তি সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত হতে পারে।সোজা ভাষায় এর ব্যাখ্যা দাঁড়ায় একজন স্ত্রী পরকিয়া করতে পারবেন কিন্তু তার স্বামী বা সে নিজে (বিবাহ কার্যকর অবস্হায়) আরেকজনকে বিয়ে করতে পারবেন না! অথবা এভাবে বলা যায় যে দ্বিতীয় বিবাহ দন্ডনীয় কিন্তু স্ত্রীর পরকিয়া বন্ধনহীন! দন্ডবিধি ১৮৬০ সালে ব্রিটিশদের দ্বারা প্রণীত হয়েছে।

আইনটি প্রণয়নের সময় অন্তত ৪৯৭ ধারার ক্ষেত্রে আমাদের উপমহাদেশের সংস্কৃতি, জলবায়ু, সামাজিকতা ও আবেগকে আমলে নিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে কিনা প্রশ্নটা থেকেই যায়।একজন স্ত্রীর কাছে স্বামীর সবচেয়ে বড় যে অধিকার সে অধিকার অনৈতিকভাবে কিংবা প্রতারণার দরুন ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছে অথচ স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা যাচ্ছেনা - তার মানে ব্রিটিশরা আইনটা প্রণয়নের সময় সজ্ঞানে নারির অপকর্মের দরজাটা খোলা রেখেছে যা একবিংশ শতাব্দিতে এসে মহামারি রুপ নিয়েছে। সম্পর্কে শ্রদ্ধা উঠে যাওয়ায় আর এমন অযৌক্তিক বিধানের বলি হচ্ছে তরুন সমাজ। সার্বিকভাবে সামাজিক ও পারিবারিক ভিত নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় এবং নৈতিকতার চর্চা সার্বিক জীবনে না হওয়ায় ঠুনকো হয়ে যাচ্ছে আবেগ আর ভালোবাসার বন্ধন। জন্ম দিচ্ছি ঐশী এবং ডা: তানজিলা মিতুদের।সাগর-রুনী হত্যাকান্ডের আড়ালেও হয়তো লুকিয়ে আছে কোন গল্প! আশংকার ব্যাপার হলো ব্যাভিচার বা নৈতিককাহীনতাটা আজ তথাকতিথত শিক্ষিত সমাজেই বেশি চর্চা হচ্ছে যা বেদনাদায়ক। হবেইনা বা কেন? বিদ্যালয়গুলোতে এখন কোন নৈতিকতা শেখানো হয়না কিংবা যতোটুকো হয় তা নামমাত্র।এমন রুচিহীন ঘটনা তরুন সমাজে বিরুপ প্রভাব ফেলছে। ফলে বাড়ছে হতাশা আর বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অবিশ্বাস! বিয়ের পরিবর্তে এখন ছেলেমেয়েরা সিঙ্গেল থাকাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। কজনকে বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তর এসেছিল "কাকে বিয়ে করব? ঢাকার মেয়েকেতো নয়ই"। অনুরুপ উত্তর অনেক তরুনিও দিয়ে থাকেন।

স্বামী- স্ত্রী পরস্পরের জন্য স্রষ্টা প্রেরিত উপঢৌকন।এ সম্পর্কটা হোক আস্হার, বিশ্বাসের, ভালোবাসার, নির্ভরতার! চুক্তিভিত্তিক কিংবা স্বার্থন্বেষী নয়! বেগম রোকেয়া স্বামী- স্ত্রী বুঝাতে অর্ধাঙ্গ আর অর্ধাঙ্গী শব্দযুগল ব্যাবহার করতেন অর্থাৎ স্বামী- স্ত্রী একই দেহের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কাজী নজরুল ইসলাম পার্থিব যুদ্ধে স্বামীকে যোদ্ধা আর স্ত্রীকে প্রেরণাদায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, কোনকালে একা হয়নি কো জয়ী পুরুষের তরবারি/প্রেরণা দিয়েছে শক্তি দিয়েছে/ বিজয় লক্ষ্মী নারি।

নর বা নারি সহকর্মী হোক, সহমর্মী হোক! সহযোগী হোক প্রতিযোগী হোক ভালোবাসায়, ভালো কর্মে! প্রতারণা নয় প্রেরণা হোক আমাদের সম্পর্কের সন্জীবনী! ভালো থাকুক ভালোবাসার মানুষগুলো! আকাশের বুকে মেঘ যেন না জমে।মিতুর চিঠিখানা পোস্ট হোক কেবল আকাশের ঠিকানায়!
  • [accordion]
    • লেখক সম্পর্কে জানুন
    • ফ্রি আইনি পরামর্শ পাবেন যেভাবে
      • আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠনের মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু হয়েছে। যারা শহরে বসবাস করেন তারা কোন আইনি জটিলতায় পড়লে খুব সহজেই একজন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে আইনি সমস্যার সমাধান করতে পারেন। কিন্তু যারা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন তারা কোন আইন সমস্যায় পড়লে দিশেহারা হয়ে পড়েন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাসের কারণে আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ করা দুরুহ হয়ে পড়ে। ফলে সমস্যা দিন দিন জটিল হতে থাকে। সঠিক পরামর্শের অভাবে অনেকেই সঠিক পদক্ষেপ না নিয়ে পরিস্থিতি আরও বেশি জটিল করে তোলেন। ফলে সমস্যা থেকে উত্তরণের কোন পথ তো পানই না উল্টো মানসিক ও শারিরীকভাবে ভেঙে পড়েন। তাদের কথা মাথায় রেখে লিগ্যাল ভয়েস কর্তৃপক্ষ প্রশ্নোত্তর বিভাগ চালু করেছে। আপনি খুব সহজেই আমাদেরকে আপনার আইনি সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। পাবেন আইনি সমস্যা থেকে উত্তরণের সঠিক পথ। আমাদের প্রশ্নোত্তর বিভাগে যুক্ত হতে [ এখানে ক্লিক করুন। ] 
    • আপনিও লিখুন আমাদের ব্লগে!
      • সুপ্রিয় লিখিয়ে পাঠক! আপনি জেনে নিশ্চয় আনন্দিত হবেন যে, আইন সচেতন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের এই উদ্যোগ। চাইলে আপনিও হতে পারেন এই গৌরবের একজন গর্বিত অংশীদার। আমাদের ব্লগে নিবন্ধন করে আপনিও হতে পারেন আমাদের সম্মানিত লেখক। লিখতে পারেন আইন-আদালত, পরিবেশ, ইসলামী আইন যেমন কোরআন, হাদিসের আইনগত বিষয়, প্রাকৃতিক আইন, বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কিত প্রতিবেদন বা অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি, অন্যায়, দূর্নীতি, হয়রানী, ইভটিজিং, বেআইনী ফতোয়া, বাল্য বিবাহ ইত্যাদিসহ যাবতীয় আইনগত বিষয়াবলী নিয়ে। আমাদের ব্লগের সদস্য হোন আর হারিয়ে যান জ্ঞান বিকাশের এক উন্মুক্ত দুনিয়ায়!
    • আমাদের কথা
      • লিগ্যাল ভয়েস হলো দেশের  সর্ববৃহৎ এবং একমাত্র আইন সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজের মানুষ সচেতনভাবে কিংবা অসচেতনভাবে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আইনগত জটিলতায় পড়ে জীবন নষ্ট করে ফেলছে। অনেক সময় আইন না জানার কারণে আমাদেরকে বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। একটু আইন জানলে হয়তো এসব ভোগান্তি হতে নিজেকে রক্ষা করা যেত। আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ হলো আইন না জানা কোন অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ কেউ কোন অপরাধ করে যদি বলে আমি আইনটি জানতাম না। জানলে এই অপরাধ টি করতাম না। আইনে এই অজুহাতের কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই। কাজেই আইন জানা ছাড়া আমাদের অন্য কোন বিকল্পও নেই। দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আমাদের বিভিন্ন আইনী জটিলতায় পড়তে হয়। তাই আইন কানুন সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আবশ্যক। আইন জানা আমাদের জন্য এমন অপরিহার্য্য বিষয় হলেও আইন জানার জন্য আমাদের দেশে ভাল কোন প্ল্যাট ফর্ম নেই। বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজ গুলোর বিষয় আলাদা। তাই সাধারণ মানুষের দোর গোড়ায় টুকিটাকি আইন কানুন পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ২০১৮ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু। আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠন করাই লিগ্যাল ভয়েসের মূল উদ্দেশ্য। বিভিন্ন লেখনীর মাধ্যমে লিগ্যাল ভয়েস সাধারণ মানুষের আইন শেখার পিপাসা নিবারণ করে থাকে। এ ছাড়া লিগ্যাল ভয়েস যে কোন ধরনের আইনগত সমস্যায় বিনা খরচে পরামর্শ প্রদান করে থাকে। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকল পাঠককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ।

২টি মন্তব্য

  1. Testing Comments
  2. নবীর সাহাবীরা এত এত তালাক দিয়েছে কেন? অপছন্দনীয় হলেও আল্লাহ সর্বজ্ঞানী বলেই তালাকের বিধান রেখেছেন এবং আত-তালাক নামে সুরা নাযিল করেছেন। আমৃত্যু বিয়ের কনসেপ্ট হিন্দুদের। সাগর-রুনী হত্যাকান্ডে মিথ্যা পরকীয়ার ইন্গিত করে আর নিজেকে নীচু করবেন না।