Search Suggest

দেহ ও গৃহ তল্লাশী সম্পর্কিত আইনি বিধি বিধান জেনে রাখুন


আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন পুলিশকে  প্রয়োজনবোধে কোন ব্যক্তির দেহ ও গৃহ তল্লাশীর ক্ষমতা অর্পন করেছে। কিন্তু এই দেহ ও গৃহ তল্লাশী অবশ্যই আইন অনুযায়ী হতে হবে। এই তল্লাশী আইন অনুযায়ী হচ্ছে কিনা তা জানাটা পুলিশের জন্য যেমন জরুরী তেমনি যার দেহ বা গৃহ তল্লাশী করা হচ্ছে তার জন্যও জরুরী। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কখন ও কিভাবে একজনের দেহ বা গৃহ তল্লাশী করা যাবে ফৌজদারি কার্যবিধিতে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।

যাকে গ্রেফতার করতে হবে, তিনি যেই স্থানে প্রবেশ করেছেন, সেই স্থান তল্লাশি   
গ্রেফতারী পরোয়ানা মোতাবেক কার্যরত ব্যক্তি অথবা গ্রেফতারের অধিকারী পুলিশ অফিসারের যদি বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে হবে তিনি কোন স্থানে প্রবেশ করেছেন বা কোন স্থানের মধ্যে আছেন, তাহলে উক্ত স্থানে বসবাসকারী বা উক্ত স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি গ্রেফতারকারী ব্যক্তি বা পুলিশ অফিসারের দাবি ক্রমে তাকে অবাধে উক্ত স্থানে প্রবেশ করতে দিবেন এবং উক্ত স্থানে তল্লাশির জন্য সকল প্রকার যুক্তিসঙ্গত সুযোগ-সুবিধা দিবেন। [ধারা ৪৭ ]
[post_ads]
প্রবেশের ক্ষেত্রে দরজা জানালা ভাঙ্গতে পারবেন কিনা
যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে হবে তিনি কোন স্থানে প্রবেশ করেছেন বা কোন স্থানের মধ্যে আছেন এমন স্থানে প্রবেশ করা না গেলে, অধিকার ও উদ্দেশ্য জ্ঞাপন এবং যথাযথভাবে প্রবেশের দাবি জানানোর পর যদি অন্যভাবে প্রবেশ করা না যায়, তাহলে পরোয়ানা মোতাবেক কার্যরত ব্যক্তি এবং যেইক্ষেত্রে পরোয়ানা জারি হতে পারে কিন্তু যাকে গ্রেফতার করা হবে তাকে পালানোর সুযোগ না দিয়ে পরোয়ানা সংগ্রহ করা যায় না, সেইক্ষেত্রে পুলিশ অফিসারে পক্ষে উক্ত স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি করা এবং প্রবেশের জন্য কোন গৃহ অথবা স্থানের, এইরূপ গৃহ অথবা স্থান, যাকে গ্রেফতার করা হইতেছে তারই হউক বা অপর কোন লোকের হোক, বাইরের অথবা ভিতরের দরজা ভেঙ্গে ফেলতে পারবেন।

তবে শর্ত থাকে যে, এমন স্থান যদি কোন স্ত্রীলোকের (যাকে গ্রেফতার করা হবে তিনি নন) প্রকৃত অবস্থানের অন্তুর্ভুক্ত কোন কামরা হয় এবং যিনি সামাজিক রীতিনীতি অনুসারে জনসাধারণের সম্মুখেই আসেন না, তাহলে উক্তরূপ কার্যরত ব্যক্তি অথবা পুলিশ অফিসার উক্ত কামরায় প্রবেশের পূর্বে উক্ত স্ত্রীলোককে জানাবেন যে, তিনি অবাধে সরে যেতে পারেন এবং অতঃপর তিনি কামরা ভেঙ্গে  প্রবেশ করতে পারেন।[ধারা ৪৮]

আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি   
যখন পুলিশ অফিসার কোন ব্যক্তিকে এমন পরোয়ানা অনুসারে গ্রেফতার করেন, যাতে জামিনের ব্যবস্থা নেই অথবা জামিনের ব্যবস্থা থাকলেও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি জামিন নিতে অপারগ হন এবং যখন কোন ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা হয় অথবা কোন সাধারণ নাগরিক যখন পরোয়ানা অনুসারে গ্রেফতার করেন এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে আইনত জামিন দেওয়া যায় না, অথবা সে জামিন সংগ্রহ করতে অসমর্থ হয়-

তখন গ্রেফতাকারী অফিসার অথবা কোন সাধারণ নাগরিক গ্রেফতার করলে তিনি গ্রেফতারকৃত  ব্যক্তিকে যার নিকট অর্পণ করেন সেই পুলিশ অফিসার তার দেহ তল্লাশি করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় পরিধেয় বস্ত্র ব্যতীত তার নিকট যা পাওয়া যাবে, তার নিরাপদে হেফাজতে রাখতে পারেন।[ধারা ৫১ ]

তবে আটককৃত ব্যক্তি কোন মহিলা হলে সেক্ষেত্রে অন্য কোন মহিলা দ্বারা শালীনতার সাথে দেহ তল্লাশী করতে হবে। [ধারা-৫২]

কখন তল্লাশি পরোয়ানা দেওয়া যায়   
ক) যখন কোন আদালতের এইরূপ বিশ্বাস করার কারণ ঘটে যে, যে ব্যক্তির উপর ৯৪ ধারা অনুসারে কোন সমন বা আদেশ অথবা ৯৫ ধারায় (১) উপধারা অনুসারে কোন  রিকুইজিশন প্রেরণ করা হয়েছে বা হতে পারে, সেই ব্যক্তি সমন বা রিজুইজিশনে বর্ণিত দলিল বা বস্তু দাখিল করবেন না; অথবা

যখন এইরূপ দলিল বা বস্তু কোন ব্যক্তির দখলে আছে মর্মে আদালতের জানা নেই; অথবা

যখন আদালত মনে করে যে, সাধারণ তল্লাশি বা পরিদর্শন দ্বারা এই কার্যবিধি অনুসারে পরিচালিত কোন তদন্ত, বিচার বা অন্য কোন কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে সাধিত হবে তখন আদালত তল্লাশি পরোয়ানা প্রদান করতে পারেন এবং যে ব্যক্তির প্রতি এই পরোয়ানা নির্দেশিত হবে তিনি পরোয়ানা ও অতঃপর বর্ণিত বিধান অনুসারে তল্লাশি বা পরিবর্ধন করতে পারবেন।

খ) এই আইনে বর্ণিত কোন বিধান জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতীত অপর কোন ম্যাজিস্ট্রেটকে ডাক বা তার কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রক্ষিত কোন দলিল, পার্সেল বা অন্য কোন বস্তু তল্লাশির জন্য পরোয়ানা মঞ্জুর করার কর্তৃত্ব দিবে না।[ধারা ৯৬]

চোরাই মাল, জাল দলিল ইত্যাদি আছে বলে সন্দেহ হলে সেই বাড়ি তল্লাশী
(১) কোন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট খবর পেয়ে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের পর যদি এরূপ বিশ্বাস করার কারণ দেখতে পান যে, কোন স্থানে চোরাই মাল জমা রাখা বা বিক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়;

অথবা জাল দলিল, নকল সীল বা জাল স্ট্যাম্প বা মুদ্রা, অথবা মুদ্রা বা স্ট্যাম্প জাল বা নকল করার বা জালিয়াতি করার যন্ত্রপাতি বা সাজ-সরঞ্জাম জমা রাখা, বিক্রয় বা প্রস্তুত করার জন্য ব্যবহৃত হয়;

অথবা কোন স্থানে জাল দলিল নকল সীল বা নকল স্ট্যাম্প বা মুদ্রা অথবা মুদ্রা বা স্ট্যাম্প জাল বা নকল করার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বা সাজসরঞ্জাম রাখা বা জমা রাখা হয়;

অথবা কোন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের পর যদি এরূপ বিশ্বাস করার কারণ দেখতে পান যে, কোন স্থানে দণ্ডবিধির ১৯২ ধারায় বর্ণিত অশীল বস্তু জমা রাখা, বিক্রয়, প্রস্তুত বা উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়, অথবা কোন স্থানে এরূপ কোন অশ্লীল বস্তু রাখা হয় বা জমা রাখা হয়-
তাহলে তিনি পরোয়ানা প্রদান করে কনষ্টেবল পদের উপরি কোন পুলিশ অফিসারকে নিম্ন লিখিত ক্ষমতা দিতে পারবেন-
ক) প্রয়োজন অনুসারে সাহায্য নিয়ে এরূপ স্থানে প্রবেশ করার; এবং
খ) পরোয়ানায় বর্ণিত উপায়ে উক্ত স্থানের তল্লাশী করার এবং

গ) সেখানে প্রাপ্ত কোন সম্পত্তি, দলিল, সীল, ষ্ট্যাম্প বা মুদ্রা সেগুলিকে তিনি যুক্তিসংগতভাবে চোরাই, বে-আইনীভাবে সংগৃহীত, জাল, মিথ্যা বা নকল বলে মনে করেন এবং উপরোক্ত যন্ত্রপাতি ও সাজ-সরঞ্জাম অথবা কোন অশ্লীল বস্তুর দখল গ্রহণ করার এবং

ঘ) এরূপ সম্পত্তি, দলিল, সীল, স্ট্যাম্প, মুদ্ৰা যন্ত্রপাতি বা সাজ-সরঞ্জাম অথবা অশ্লীল বস্তু কোন ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করার অথবা অপরাধীকে যতক্ষণ পর্যন্ত কোন ম্যাজিষ্ট্রেটর নিকট হাজির করা না হয় ততক্ষণ যাবৎ উহা ঘটনাস্থলে পাহারা দেওয়ার অথবা অন্য কোনভাবে উহা কোন নিরাপদ স্থানে রাখার, এবং

ঙ) এরূপ কোন সম্পত্তি চোরাই বা অন্য কোন উপায়ে বে-আইনীভাবে সংগৃহীত অথবা এরূপ দলিল, সীল, স্ট্যাম্প, মুদ্রা, যন্ত্রপাতি বা সাজ-সরঞ্জাম জাল, মিথ্যা বা নকল, অথবা এরূপ যন্ত্রপাতি বা সাজ-সরঞ্জাম মুদ্রা বা স্ট্যাম্প নকল বা জাল করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে বা হবে, অথবা এরূপ অশ্লীল বস্তু বিক্রয়, ভাড়া দেয়া, বন্টন, প্রকাশ্যে প্রদর্শন, প্রচার, আমদানী বা রপ্তানী করা হয়েছে বা হবে বলে জেনে অথবা এরূপ সন্দেহ করার যুক্তিসংগত কারণ আছে বলে জেনে অথবা এরূপ সম্পত্তি দলিল, সীল, স্ট্যাম্প, মুদ্রা, যন্ত্রপাতি সাজ-সরঞ্জাম বা অশ্লীল বস্তু জমা রাখা বিক্রয় বা তৈরী করার বা রাখার সাথে জড়িত আছে বলে প্রতীয়মান হয় তাহলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এরূপ প্রত্যেকটি লোককে গ্রেফতার করার এবং কোন ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট নিয়ে যাবার।
[next]
(২) এই ধারায় বিধান নিম্নলিখিত বিষয়ে-
ক) জাল মুদ্রা,
খ) জাল বলে সন্দেহ যুক্ত মুদ্রা এবং
গ) মুদ্রা জাল করার যন্ত্রপাতি বা সাজ-সরঞ্জাম সম্পর্কিত ব্যবস্থা যথাসম্ভব যথাক্রমে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে-

১৮৮৯ সালের মেটাল টোকেম আইন লংঘন করে তৈরি অথবা, ১৯৬৯ সালের সমুদ্র শুল্ক আইনের ১৬ ধারার অধীন প্রদত্ত বর্তমানে বলবৎ কোন বিজ্ঞপ্তি লংঘন করে বাংলাদেশে আনীত কোন ধাতব খণ্ড:

এভাবে তৈয়ারি করা বা এভাবে বাংলাদেশে আনীত বলে সন্দেহযুক্ত অথবা উপযুক্ত আইন দুইটির প্রথমটি লংঘন করে ইসু করা হবে বলে ধাতব খণ্ড, এবং

উক্ত আইন লংঘন করে ধাতব খণ্ড তৈয়ারির যন্ত্রপাতি বা সাজ-সরঞ্জাম। [ধারা ৯৮]
[post_ads_2]
বেআইনীভাবে আটক ব্যক্তির জন্য তল্লাশি   
যখন কোন মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এইরূপ বিশ্বাস করার কারণ ঘটে যে, কোন ব্যক্তিকে এমন পরিস্থিতিতে আটক রাখা হয়েছে যাতে আটক রাখা অপরাধে পরিণত হয়। তখন তিনি তল্লাশি পরোয়ানা প্রদান করতে পারেন এবং যার প্রতি পরোয়ানা নির্দেশিত হবে, তিনি পরোয়ানা অনুসারে উক্ত আটক ব্যক্তির জন্য তল্লাশি করতে পারিবেন এবং উক্ত ব্যক্তিকে যদি পাওয়া যায়, তাহলে অবিলম্বে তাকে কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করতে হবে, এবং তিনি ঘটনার পরিস্থিতি অনুসারে উপযুক্ত আদেশ দিবেন।[ধারা ১০০]

আবদ্ধ স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি তল্লাশি করতে দিতে বাধ্য   
এই অধ্যায় অনুসারে তল্লাশি বা পরির্দশনযোগ্য কোন স্থান যদি বন্ধ থাকে তাহলে তথায় বসবাসকারী বা উক্ত স্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, পরোয়ানা কার্যকারী অফিসার বা অন্য কোন ব্যক্তি দাবি করলে ও পরোয়ানা দেখালে তাকে অবাধে তথায় প্রবেশ করতে দিবেন ও তল্লাশির সকল প্রকার যুক্তিসঙ্গত সুবিধা দিবেন।

যদি উক্ত স্থানে প্রবেশ করা না যায়, তাহলে উক্ত অফিসার বা পরোয়ানা প্রয়োগকারী অন্য কোন ব্যক্তি ৪৮ ধারায় বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে অগ্রসর হতে পারেন।

যে বস্তু সম্পর্কে তল্লাশি হওয়া উচিত, উক্ত স্থানে বা স্থানের নিকট কোন ব্যক্তি উক্ত বস্তু তার দেহে লুকিয়ি রেখেছে মর্মে যদি যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা যায়, তাহলে উক্ত ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করা যেতে পারে। উক্ত ব্যক্তি স্ত্রীলোক হইলে ৫২ ধারার নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে।[ধারা ১০২ ]


সাক্ষীর উপস্থিতিতে তল্লাশি চালাতে হবে   
এই অধ্যায় অনুসারে তল্লাশি করার পূর্বে তল্লাশি করতে উদ্যত অফিসার বা অন্য কোন ব্যক্তি, যেইস্থানে তল্লাশি করা হবে সেই এলাকার দুইজন বা ততোধিক সম্মানিত অধিবাসীকে তল্লাশিতে হাজির থাকতে ও উহার সাক্ষী হতে আহ্বান জানাবেন এবং এ জন্য তাদেরকে বা তাদের যেকোন একজনের প্রতি লিখিত আদেশ দিতে পারবেন।

তাদের উপস্থিতিতে তল্লাশি করতে হবে এবং উক্ত অফিসার বা অন্য ব্যক্তি তল্লাশির সময় আটক সমস্ত জিনিস ও যে যে স্থানে সেইগুলি পাওয়া গিয়েছে উহার একটি তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত সাক্ষীগণ তালিকায় দস্তখত করবেন। তবে আদালত যদি বিশেষভাবে সমন দিয়ে তলব না করেন, তাহলে এই ধারা অনুসারে পরিচালিত তল্লাশির কোন সাক্ষীকে উক্ত তল্লাশির সাক্ষী হিসাবে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া যাবে না।

যেই স্থানে তল্লাশি করা হয় তথায় উহার বাসিন্দা উপস্থিত থাকতে পারেন-

তল্লাশিকৃত স্থানের দখলকারী ব্যক্তি অথবা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তল্লাশি সময় হাজির থাকার অনুমতি দিতে হবে এবং উক্ত দখলকারী ব্যক্তি বা তার প্রতিনিধি অনুরোধ করলে তাকে এই ধারা অনুসারে প্রণীত ও উপরোক্ত সাক্ষীগণের স্বাক্ষরিত তালিকার একটি নকল দিতে হবে।

যখন ১০২ ধারার (৩) উপধারা অনুসারে কোন ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করা হবে, তখন যেই সকল জিনিসের দখল গ্রহণ করা হলে উহার একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হইবে এবং উক্ত ব্যক্তি অনুরোধ করলে তাকে উহার একটি নকল দিতে হবে।

লিখিত আদেশ দ্বারা আহ্বান জানানো সত্ত্বেও যে ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত এই ধারা অনুসারে পরিচালিত কোন তল্লাশিতে হাজির হতে ও সাক্ষী হতে অস্বীকার বা অবহেলা করেন, তিনি দন্ডবিধির ১৮৭ ধারায় বর্ণিত অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে।[ধারা ১০৩]
[post_ads]
পুলিশ অফিসার কর্তৃক তল্লাশি 
যখনই থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার বা পুলিশ অফিসার তদন্তের সময় যুক্তিসঙ্গত কারণে বিশ্বাস করেন যে, যেই অপরাধ সম্পর্কে তদন্তের জন্য তিনি ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছেন, সেই অপারধের তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় কোন জিনিস, তিনি যেই থানার ভারপ্রাপ্ত অথবা তিনি যেই থানার সহিত সংযুক্ত, সেই থানার কোন স্থানে পাওয়া যাবে এবং তার মতে অহেতুক বিলম্ব ব্যতীত অন্য কোনভাবে উক্ত জিনিস সংগ্রহ করা যাবে না, তখন উক্ত অফিসার তার উক্তরূপ বিশ্বাসের কারণ ও যেই জিনিসের তল্লাশি করা হবে, যথাসম্ভব উহার বিবরণ লিপিবদ্ধ পূর্বক উক্ত থানার এখতিয়ারাধীন যেকোন স্থানে তল্লাশি করবেন অথবা তল্লাশি করাবেন। তবে শর্ত থাকে যে, যেই সকল বস্তু ব্যাংকরাস বুকস এভিডেসন্স অ্যাক্ট ১৮৯১ (১৮৯১ সালের ১৮ নম্বর আইন) এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ব্যাংক বা ব্যাংকারের হেফাজতে আছে এবং যা কোন ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সহিত যুক্ত কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সহিত যুক্ত কোন বিষয় সংবাদ প্রকাশ করতে পারে ঔ সমস্ত বস্তু সম্পর্কে কোন অফিসার তল্লাশি করবেন না বা করাবেন না। কিন্তু দায়রা জজের লিখিত পূর্বানুমতি নিয়ে দন্ডবিধির ৪০৩, ৪০৬, ৪০৮, ৪০৯, ৪২১ হতে ৪২৪ এবং ৪৬৫ হতে ৪৭৭এ ধারার অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে  এবং  অন্যান্য ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের লিখিত পূর্বানমতি নিয়ে তল্লাশি করা যাবে। 

পুলিশ অফিসার সময় সম্ভব হলে ব্যত্তিগতভাবে তল্লাশি পরিচালনা করবেন। কিন্তু যদি তিনি নিজে তল্লাশি পরিচালনা করিতে অসমর্থন হন এবং তল্লাশি পরিচালনার জন্য উপযুক্ত অন্য কোন ব্যক্তি সেই সময় উপস্থিত না থাকেন, তাহলে তিনি উহার কারণ লিপিবদ্ধ করে তার অধঃস্তন কোন অফিসারকে তল্লাশি করতে বলবেন এবং তল্লাশির স্থান ও যথাসম্ভব তল্লাশির জিনিসের বিষয় উল্লেখ করে উক্ত অধঃস্তন অফিসারকে একটি লিখিত আদেশ অর্পণ করবেন এবং অতঃপর উক্ত অধঃস্তন অফিসার এইরূপ জিনিসের জন্য উক্ত স্থান তল্লাশি করতে পারবেন। তল্লাশি পরোয়ানা সম্পর্কে এই কার্যবিধির বিধানসমূহের এবং ১০২ ও ১০৩ ধারায় বর্ণিত তল্লাশি- সম্পর্কিত সাধারণ বিধানসমূহ যথাসম্ভব এই ধারা অনুসারে পরিচালিত তল্লাশির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। 

উপরোক্ত (১) উপধারা বা (৩) উপধারা অনুসারে প্রণীত দলিলের কোন নকল অবিলম্বে উক্ত অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটএর নিকট প্রেরণ কতে হবে এবং তল্লাশিকৃত স্থানের মালিক বা দখলকার আবেদন করলে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট তাকে নকল প্রদান করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ম্যাজিস্ট্রেট কোন বিশেষ কারণবশত বিনামূল্যে উহা সবরবাহ না করলে তাহাকে উহার জন্য মূল্য দিতে হবে।[ধারা ১৬৫]
  • [accordion]
    • লেখক সম্পর্কে জানুন
      • পোস্টটি লিখেছেন- [ মোঃ আজাদুর রহমান ##pencil##] তিনি লিগ্যাল ভয়েস ব্লগের এডমিন ও সম্পাদক। পেশাগত জীবনে তিনি আইনজীবী হিসেবে ঢাকা জজ কোর্টে কর্মরত আছেন।
    • ফ্রি আইনি পরামর্শ পাবেন যেভাবে
      • আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠনের মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু হয়েছে। যারা শহরে বসবাস করেন তারা কোন আইনি জটিলতায় পড়লে খুব সহজেই একজন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে আইনি সমস্যার সমাধান করতে পারেন। কিন্তু যারা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন তারা কোন আইন সমস্যায় পড়লে দিশেহারা হয়ে পড়েন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাসের কারণে আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ করা দুরুহ হয়ে পড়ে। ফলে সমস্যা দিন দিন জটিল হতে থাকে। সঠিক পরামর্শের অভাবে অনেকেই সঠিক পদক্ষেপ না নিয়ে পরিস্থিতি আরও বেশি জটিল করে তোলেন। ফলে সমস্যা থেকে উত্তরণের কোন পথ তো পানই না উল্টো মানসিক ও শারিরীকভাবে ভেঙে পড়েন। তাদের কথা মাথায় রেখে লিগ্যাল ভয়েস কর্তৃপক্ষ প্রশ্নোত্তর বিভাগ চালু করেছে। আপনি খুব সহজেই আমাদেরকে আপনার আইনি সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। পাবেন আইনি সমস্যা থেকে উত্তরণের সঠিক পথ। আমাদের প্রশ্নোত্তর বিভাগে যুক্ত হতে [ এখানে ক্লিক করুন। ] 
    • আপনিও লিখুন আমাদের ব্লগে!
      • সুপ্রিয় লিখিয়ে পাঠক! আপনি জেনে নিশ্চয় আনন্দিত হবেন যে, আইন সচেতন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের এই উদ্যোগ। চাইলে আপনিও হতে পারেন এই গৌরবের একজন গর্বিত অংশীদার। আমাদের ব্লগে নিবন্ধন করে আপনিও হতে পারেন আমাদের সম্মানিত লেখক। লিখতে পারেন আইন-আদালত, পরিবেশ, ইসলামী আইন যেমন কোরআন, হাদিসের আইনগত বিষয়, প্রাকৃতিক আইন, বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কিত প্রতিবেদন বা অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি, অন্যায়, দূর্নীতি, হয়রানী, ইভটিজিং, বেআইনী ফতোয়া, বাল্য বিবাহ ইত্যাদিসহ যাবতীয় আইনগত বিষয়াবলী নিয়ে। আমাদের ব্লগের সদস্য হোন আর হারিয়ে যান জ্ঞান বিকাশের এক উন্মুক্ত দুনিয়ায়!
    • আমাদের কথা
      • লিগ্যাল ভয়েস হলো দেশের  সর্ববৃহৎ এবং একমাত্র আইন সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজের মানুষ সচেতনভাবে কিংবা অসচেতনভাবে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আইনগত জটিলতায় পড়ে জীবন নষ্ট করে ফেলছে। অনেক সময় আইন না জানার কারণে আমাদেরকে বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। একটু আইন জানলে হয়তো এসব ভোগান্তি হতে নিজেকে রক্ষা করা যেত। আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ হলো আইন না জানা কোন অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ কেউ কোন অপরাধ করে যদি বলে আমি আইনটি জানতাম না। জানলে এই অপরাধ টি করতাম না। আইনে এই অজুহাতের কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই। কাজেই আইন জানা ছাড়া আমাদের অন্য কোন বিকল্পও নেই। দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আমাদের বিভিন্ন আইনী জটিলতায় পড়তে হয়। তাই আইন কানুন সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আবশ্যক। আইন জানা আমাদের জন্য এমন অপরিহার্য্য বিষয় হলেও আইন জানার জন্য আমাদের দেশে ভাল কোন প্ল্যাট ফর্ম নেই। বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজ গুলোর বিষয় আলাদা। তাই সাধারণ মানুষের দোর গোড়ায় টুকিটাকি আইন কানুন পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ২০১৮ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু। আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠন করাই লিগ্যাল ভয়েসের মূল উদ্দেশ্য। বিভিন্ন লেখনীর মাধ্যমে লিগ্যাল ভয়েস সাধারণ মানুষের আইন শেখার পিপাসা নিবারণ করে থাকে। এ ছাড়া লিগ্যাল ভয়েস যে কোন ধরনের আইনগত সমস্যায় বিনা খরচে পরামর্শ প্রদান করে থাকে। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকল পাঠককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন