Search Suggest

আদালতে হাতেখড়ি (২য় পর্ব): মামলার কজলিস্ট কি ও কজলিস্ট দেখার নিয়ম কানুন


সবারই স্বপ্ন থাকে বড় হয়ে একটি সন্মানজনক পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করে ক্যারিয়ারকে উজ্জল করার। বাংলাদেশে যতগুলো আত্মনির্ভরকেন্দ্রিক ও সম্মানজনক পেশা রয়েছে তার মধ্যে আইন পেশা হলো সবার পরিচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। এই পেশাকে রয়্যাল বা রাজকীয় পেশাও বলা হয়ে থাকে।শতাব্দীর পর শতাব্দী আইন পেশা স্বীকৃত হয়ে আসছে সম্মান ও ঐতিহ্যের পেশা হিসেবে।  এ পেশায় এসে একজন ব্যক্তি যেমন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন, তেমনি সমাজে সবার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করারও সুযোগ পেয়ে থাকেন। সমাজ গঠনে অনস্বীকার্য ভূমিকা রাখার জন্য আইনজীবীদেরকে সোস্যাল ডক্টর বা সামাজিক ডাক্তার হিসেবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।এই পেশার গুরুত্ব অনুধাবন করে বর্তমান প্রজন্মের এই পেশায় নিজের ক্যারিয়ার গড়ার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আইনজীবী হওয়ার যে স্বপ্ন নিয়ে একজন তরুণ বা তরুণী আইন পড়া শেষে আদালত অঙ্গনে পা রাখে, কঠিন বাস্তবতার চোরাবালিতে সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে বিলীন হতে থাকে।আশানুরুপ ফল না পাওয়ায় হতাশা আর ধৈর্য্যহারা হয়ে ছিটকে পড়েন এই পেশা থেকে। এর পিছনে ছোট বড় অনেকগুলো কারণ থাকলেও মূলতঃ আদালত পাড়ায় এসে কি করবো, কিভাবে করবো, কোথা থেকে শুরু করবো ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে দ্বিধা দ্বন্বে পড়ে যাওয়াও অন্যতম একটি কারণ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজগুলোতে আইনের তাত্ত্বিক বিষয়ের উপর শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু আদালত পাড়ায় ওকালতি জীবন শুরু করতে এসে সবকিছু নতুন মনে হয়।কারণ এখানে তাত্তিক জ্ঞানের চেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে ব্যবহারিক জ্ঞানের যেটি বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজগুলোতে শেখানো হয় না।তাই বর্তমান প্রজন্ম  আইনজীবী হওয়ার যে মহৎ স্বপ্ন নিয়ে  আদালত পাড়ায় পা রাখে তাদের সেই মহৎ স্বপ্ন পূরণে নিবিঘ্নে কাজ করে যেতে পারে সে জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র আয়োজন। আমি চেষ্টা করবো এই লেখার মাধ্যমে আদালতের ব্যবহারিক কাজগুলো এমনভাবে শিখিয়ে দেওয়ার যেন সবার মনে হয় যে তারা হাতেকলমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

আজ আমরা শিখবো কজলিস্ট কি ও এর ব্যবহার।কারণ একজন আইনজীবীর জন্য প্রতিদিন কজলিস্ট দেখা একটি অত্যাবশ্যকীয় কাজ। একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবীর প্রথম কাজ হলো মামলার কজলিস্ট দেখে তার সিনিয়র আইনজীবীর মামলার ডায়েরী যথাযথভাবে হালনাগাদ করা।আপনি যদি শিক্ষানবীশ হিসেবে কোন চেম্বারে যোগদান করেন তাহলে আপনাকে প্রথমে এই গুরু দায়িত্বটিই দেয়া হবে। কাজেই আগেভাগে কজলিস্ট সম্পর্কে  সম্যক ধারণা থাকলে আপনার জন্য সুবিধাই হবে।পাশাপাশি কিভাবে একটি হাজিরা ও পিটিশন লিখতে হয় সেটিও জেনে নেব আজকে। তো আসুন শুরু করা যাক।

কজলিস্ট কি জিনিস
ধরুন আপনি আপনার দৈনন্দিন কাজকর্ম একটি রুটিন মাফিক সম্পন্ন করেন।তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার আগামীকালের কাজগুলি আপনার ডায়েরিতে সিরিয়াল অনুযায়ী লিখে রাখবেন।এটা হলো আপনার দৈনন্দিন কার্য তালিকা। যদি আরও খোলাখুলিভাবে বলি এটাই হলো কজলিস্ট।কজলিস্ট অর্থ হলো কার্য তালিকা। আপনি যেমন আপনার দৈনন্দিন কাজের তালিকা প্রস্তুত করেন তেমনিভাবে আদালত একদিনে কোন কোন মামলার বিষয়ে শুনানী করবেন তার তালিকা প্রস্তুত করেন। এই তালিকাটি তারিখ বিশিষ্ট একটি ডায়েরীতে সংরক্ষণ করা হয়। সোজা ভাষায় বলতে গেলে কজলিস্ট হলো আদালতের দৈনিক কাজের একটি তালিকা।
[post_ads]
কজলিস্ট কিভাবে দেখতে হয়
কজলিস্ট কিভাবে দেখতে হয় সেটা জানার আগে এটা জানা জরুরী যে, কজলিস্টে আসলে কি থাকে কিভাবে থাকে। কজলিস্ট হলো তারিখ বিশিষ্ট একটি ডায়েরী।একটি কজলিস্টে মামলার নম্বর, মামলাটি কোন স্টেজে আছে এবং মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ কবে সে ব্যাপারে লেখা থাকে।মামলার নম্বর থাকে বাম পাশে এবং ধার্য তারিখ ও পদক্ষেপ থাকে ডানপাশে। ধরুন, আপনার সিনিয়র আপনাকে একটি মামলার নম্বর দিয়ে বললেন এই মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ নিয়ে আসেন।তাহলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে ঐ মামলার পূর্ববর্তী তারিখ কবে ছিল। ধরুন, উক্ত মামলার পূর্ববর্তী তারিখ ছিল গতকাল অর্থাৎ ০৫/০২/২০১৯ ইং তারিখে। তাহলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট কোর্টে গিয়ে কজলিস্টের পাতা উল্টিয়ে ০৫/০২/২০১৯  ইং তারিখে যেতে হবে। সেখানে দেখবেন অনেকগুলো মামলার তালিকা দেয়া আছে। ঐ তালিকার ভিতরে আপনার মামলার নম্বরটি মিলিয়ে দেখে উক্ত মামলা বরাবর ডানপাশে পরবর্তী তারিখ কবে এবং কোন পদক্ষেপের জন্য আছে সেটি নোট নিতে হবে। কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে আদালতের পিয়নের সাহায্য নিতে হয়।

কজলিস্ট কত ধরণের হয়
ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে যে মামলার বিচার এখনো শুরু হয়নি সে মামলাকে আমলী মামলা এবং যে মামলার বিচার শুরু হয়েছে সেই মামলাকে বিচারাধীন মামলা বলা হয়।সেই হিসেবে আদালতে আমলী মামলার জন্য এবং বিচারিক মামলার জন্য আলাদা আলাদা কজলিস্ট থাকে। বিচারাধীন মামলার কজলিস্টকে সাধারণত ট্রায়াল কজলিস্ট বলা হয়। এছাড়া দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল মামলার জন্য আলাদা কজলিস্ট করা হয়। যে মামলা থানায় দায়ের করা হয়েছে কিন্তু এখনো বিচার শুরু হয়নি সে মামলার তত্তাবধান পুলিশ করে থাকে। এটাকে জি. আর সেকশন বলা হয়। জি. আর সেকশনে একটি কজলিস্ট থাকে।জি. আর. মামলার ধার্য তারিখ জি. আর সেকশন থেকে দেখতে হয়।এছাড়া দায়রা ও মহানগর দায়রা আদালতে আমলী বলে কোন কজলিস্ট থাকে না। শুধুমাত্র ট্রায়াল কজলিস্ট থাকে। দেওয়ানী আদালতে দেওয়ানী মামলা, অর্পিত সম্পত্তি মামলা, মিস কেস ও সাকসেশন মামলার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা কজলিস্ট ব্যবহার করা হয়।মিস কেস ও সাকসেশন মামলার কজলিস্ট এজলাসে থাকে না বরং তা সেরেস্তাদারের নিকট সংরক্ষিত থাকে।
[post_ads_2]
কিভাবে একটি হাজিরা ও পিটিশন লিখতে হয়
কোন ফৌজদারি মামলায় বাদী বা আসামী ধার্য তারিখে হাজির থাকলে অবশ্যই বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা দাখিল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে হাজিরা লিখে বাদী বা আসামীর স্বাক্ষর নিয়ে সময়মত আদালতে দাখিল করতে হয়।দেওয়ানী মামলার ক্ষেত্রে বাদী বা বিবাদীর স্বাক্ষর লাগে না। শুধুমাত্র আইনজীবীর স্বাক্ষর থাকলেই চলে। প্রত্যেক মামলার হাজিরা ও পিটিশন একই রকম হয়। অর্থাৎ ছক সব একই। শুধুমাত্র ভিতরে একেকজন প্রয়োজনুসারে একেক রকম কথা লেখেন।হাজিরা ও পিটিশনে প্রথমে কোর্টের নাম, তারপর মামলার নম্বর ও সাল, বাদী ও আসামীর/বিবাদীর নাম, বিষয় (বিষয়ে লিখতে হয় কোন পক্ষের হাজিরা দিচ্ছেন বা পিটিশন হলে কোন পক্ষে কেন পিটিশন দিচ্ছেন) তারপর গৎবাধা কিছু কথা। হাজিরার ক্ষেত্রে প্রার্থনার কোন অংশ থাকে না কিন্তু পিটিশনে সর্বশেষে প্রার্থনার একটি অংশ থাকে। যেমন ছোট বেলায় ছুটি চেয়ে দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে  ‘ অতএব’ লিখে শেষ করতেন এখানেও প্রার্থনার অংশে ‘অতএব’ লিখে শেষ করতে হয়। আপনাদের সুবিধার্থে একটি হাজিরা ও পিটিশনের নমুনা নিচে দিয়ে দিলাম।

হাজিরা
একটি হাজিরার নমুনা



পিটিশন
একটি পিটিশনের নমুনা

তবে সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি গৎ কথাগুলি মুখস্ত করে ফেলতে পারেন। যেমন প্রতিটি হাজিরা ও পিটিশনে যে বিষয়গুলি অবশ্যই থাকে সেটিকে আমি গৎ বলছি।

আইনজীবী হতে হলে একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবীকে  অবশ্যই কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। সিনিয়র কোন কাজ করতে বললে করবেন অন্যথায় বসে থাকবেন এমনটা ভাবা যাবে না। নিজে সিনিয়রের নিকট  থেকে আগ্রহ দেখিয়ে কাজ বুঝে নিয়ে নিজ দায়িত্বে তা সম্পন্ন করতে হবে।তাহলেই ভাল একজন আইনজীবী হওয়া সম্ভব হবে।কারণ অলসদের জন্য এই পেশা নয়।
  • [accordion]
    • লেখক সম্পর্কে জানুন
      • পোস্টটি লিখেছেন- [ মোঃ আজাদুর রহমান ##pencil##] তিনি লিগ্যাল ভয়েস ব্লগের এডমিন ও সম্পাদক। পেশাগত জীবনে তিনি আইনজীবী হিসেবে ঢাকা জজ কোর্টে কর্মরত আছেন।
    • ফ্রি আইনি পরামর্শ পাবেন যেভাবে
      • আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠনের মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু হয়েছে। যারা শহরে বসবাস করেন তারা কোন আইনি জটিলতায় পড়লে খুব সহজেই একজন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে আইনি সমস্যার সমাধান করতে পারেন। কিন্তু যারা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন তারা কোন আইন সমস্যায় পড়লে দিশেহারা হয়ে পড়েন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাসের কারণে আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ করা দুরুহ হয়ে পড়ে। ফলে সমস্যা দিন দিন জটিল হতে থাকে। সঠিক পরামর্শের অভাবে অনেকেই সঠিক পদক্ষেপ না নিয়ে পরিস্থিতি আরও বেশি জটিল করে তোলেন। ফলে সমস্যা থেকে উত্তরণের কোন পথ তো পানই না উল্টো মানসিক ও শারিরীকভাবে ভেঙে পড়েন। তাদের কথা মাথায় রেখে লিগ্যাল ভয়েস কর্তৃপক্ষ প্রশ্নোত্তর বিভাগ চালু করেছে। আপনি খুব সহজেই আমাদেরকে আপনার আইনি সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। পাবেন আইনি সমস্যা থেকে উত্তরণের সঠিক পথ। আমাদের প্রশ্নোত্তর বিভাগে যুক্ত হতে [ এখানে ক্লিক করুন। ] 
    • আপনিও লিখুন আমাদের ব্লগে!
      • সুপ্রিয় লিখিয়ে পাঠক! আপনি জেনে নিশ্চয় আনন্দিত হবেন যে, আইন সচেতন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের এই উদ্যোগ। চাইলে আপনিও হতে পারেন এই গৌরবের একজন গর্বিত অংশীদার। আমাদের ব্লগে নিবন্ধন করে আপনিও হতে পারেন আমাদের সম্মানিত লেখক। লিখতে পারেন আইন-আদালত, পরিবেশ, ইসলামী আইন যেমন কোরআন, হাদিসের আইনগত বিষয়, প্রাকৃতিক আইন, বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কিত প্রতিবেদন বা অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি, অন্যায়, দূর্নীতি, হয়রানী, ইভটিজিং, বেআইনী ফতোয়া, বাল্য বিবাহ ইত্যাদিসহ যাবতীয় আইনগত বিষয়াবলী নিয়ে। আমাদের ব্লগের সদস্য হোন আর হারিয়ে যান জ্ঞান বিকাশের এক উন্মুক্ত দুনিয়ায়!
    • আমাদের কথা
      • লিগ্যাল ভয়েস হলো দেশের  সর্ববৃহৎ এবং একমাত্র আইন সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজের মানুষ সচেতনভাবে কিংবা অসচেতনভাবে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আইনগত জটিলতায় পড়ে জীবন নষ্ট করে ফেলছে। অনেক সময় আইন না জানার কারণে আমাদেরকে বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। একটু আইন জানলে হয়তো এসব ভোগান্তি হতে নিজেকে রক্ষা করা যেত। আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ হলো আইন না জানা কোন অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ কেউ কোন অপরাধ করে যদি বলে আমি আইনটি জানতাম না। জানলে এই অপরাধ টি করতাম না। আইনে এই অজুহাতের কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই। কাজেই আইন জানা ছাড়া আমাদের অন্য কোন বিকল্পও নেই। দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আমাদের বিভিন্ন আইনী জটিলতায় পড়তে হয়। তাই আইন কানুন সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আবশ্যক। আইন জানা আমাদের জন্য এমন অপরিহার্য্য বিষয় হলেও আইন জানার জন্য আমাদের দেশে ভাল কোন প্ল্যাট ফর্ম নেই। বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজ গুলোর বিষয় আলাদা। তাই সাধারণ মানুষের দোর গোড়ায় টুকিটাকি আইন কানুন পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ২০১৮ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু। আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠন করাই লিগ্যাল ভয়েসের মূল উদ্দেশ্য। বিভিন্ন লেখনীর মাধ্যমে লিগ্যাল ভয়েস সাধারণ মানুষের আইন শেখার পিপাসা নিবারণ করে থাকে। এ ছাড়া লিগ্যাল ভয়েস যে কোন ধরনের আইনগত সমস্যায় বিনা খরচে পরামর্শ প্রদান করে থাকে। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকল পাঠককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ।

১টি মন্তব্য

  1. ধন্যবা। আপনাদের নতুন সদ।। আশা করি এখান থেকে ভালো কিছু শিখতে পারবো।