Search Suggest

আদালতে হাতেখড়ি (৩য় পর্ব): আদালতে ফৌজদারি মামলা যেভাবে দায়ের করা হয়


সবারই স্বপ্ন থাকে বড় হয়ে একটি সন্মানজনক পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করে ক্যারিয়ারকে উজ্জল করার। বাংলাদেশে যতগুলো আত্মনির্ভরকেন্দ্রিক ও সম্মানজনক পেশা রয়েছে তার মধ্যে আইন পেশা হলো সবার পরিচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। এই পেশাকে রয়্যাল বা রাজকীয় পেশাও বলা হয়ে থাকে।শতাব্দীর পর শতাব্দী আইন পেশা স্বীকৃত হয়ে আসছে সম্মান ও ঐতিহ্যের পেশা হিসেবে।  এ পেশায় এসে একজন ব্যক্তি যেমন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন, তেমনি সমাজে সবার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করারও সুযোগ পেয়ে থাকেন। সমাজ গঠনে অনস্বীকার্য ভূমিকা রাখার জন্য আইনজীবীদেরকে সোস্যাল ডক্টর বা সামাজিক ডাক্তার হিসেবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।এই পেশার গুরুত্ব অনুধাবন করে বর্তমান প্রজন্মের এই পেশায় নিজের ক্যারিয়ার গড়ার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আইনজীবী হওয়ার যে স্বপ্ন নিয়ে একজন তরুণ বা তরুণী আইন পড়া শেষে আদালত অঙ্গনে পা রাখে, কঠিন বাস্তবতার চোরাবালিতে সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে বিলীন হতে থাকে।আশানুরুপ ফল না পাওয়ায় হতাশা আর ধৈর্য্যহারা হয়ে ছিটকে পড়েন এই পেশা থেকে। এর পিছনে ছোট বড় অনেকগুলো কারণ থাকলেও মূলতঃ আদালত পাড়ায় এসে কি করবো, কিভাবে করবো, কোথা থেকে শুরু করবো ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে দ্বিধা দ্বন্বে পড়ে যাওয়াও অন্যতম একটি কারণ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজগুলোতে আইনের তাত্ত্বিক বিষয়ের উপর শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু আদালত পাড়ায় ওকালতি জীবন শুরু করতে এসে সবকিছু নতুন মনে হয়।কারণ এখানে তাত্তিক জ্ঞানের চেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে ব্যবহারিক জ্ঞানের যেটি বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজগুলোতে শেখানো হয় না।তাই বর্তমান প্রজন্ম  আইনজীবী হওয়ার যে মহৎ স্বপ্ন নিয়ে  আদালত পাড়ায় পা রাখে তাদের সেই মহৎ স্বপ্ন  পূরণে নিবিঘ্নে কাজ করে যেতে পারে সে জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র আয়োজন। আমি চেষ্টা করবো এই লেখার মাধ্যমে আদালতের ব্যবহারিক কাজগুলো এমনভাবে শিখিয়ে দেওয়ার যেন সবার মনে হয় যে তারা হাতেকলমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষণীয় বিষয় হলো কিভাবে আদালতে মামলা দায়ের করতে হয় সে বিষয়টি খুবই ভালভাবে আয়ত্ব করা।যত বেশি নিখুত ভাবে কাজ করতে শিখবেন, যেকোন চেম্বারে বা সিনিয়রের কাছে তত বেশি মূল্যায়িত হবেন। কোন কারণে যদি আপনি কোন সিনিয়রের চেম্বার ছেড়ে দেন, তাহলে সেই সিনিয়র যেন আপনার অভাবটা অনেক বেশি পরিমাণে উপলব্ধি করেন।তাহলেই আপনার সার্থকতা।চলুন আজ আমরা একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করি।
[post_ads]
ধরুণ, আব্দুর রহিম নামের একজন মক্কেল আপনাদের চেম্বারে এসে মামলা করার আগ্রহ প্রকাশ করে আপনার সিনিয়রের নিকট ঘটনার বিবরণ দিলেন। আপনার সিনিয়র আব্দুর রহিম সাহেবের নিকট থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে নোট নিলেন এবং মামলা সম্পর্কিত  প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করলেন। এবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেবার পালা।

মামলা লেখা
মামলা লেখার দায়িত্বটা আপনার সিনিয়রের উপর ছেড়ে দিন এই মুহুর্তে।কারণ আপনি যেহেতু নতুন মামলা লেখার মত দুরুহ কাজটি আপনার পক্ষে এই মুহুর্তে সম্ভব নয়।তবে আপনার সিনিয়র যখন ঘটনার ব্রীফ নিবেন তখন আপনি অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে তা শুনবেন এবং যখন আপনার সিনিয়র মামলা লেখা সম্পন্ন করবেন তখন অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পুরো মামলাটি কয়েকবার পড়ে নিবেন। সম্ভব হলে মামলার একটি ফটোকপি আপনার কাজে সংরক্ষণ করে রাখবেন। এতে করে কিভাবে ঘটনা শুনে মামলা লিখতে হবে সে সম্পর্কে আপনার মোটামুটি একটি ধারণা তৈরি হয়ে যাবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি ফটোকপি করা
আপনার সিনিয়র মামলা লিখে মামলার মুল পিটিশনটি হাজিরা বা কার্টিজ পেপারে প্রিন্ট দিবেন। এরপর প্রিন্টেড পিটিশনটি আপনার হাতে দিয়ে মামলাটি দায়ের করার গুরু দায়িত্বটি দিবেন। আপনাকে সাবধানতার সাথে কাজগুলি সম্পন্ন করতে হবে। পিটিশন এবং মামলার সাক্ষ্য সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর আপনার প্রথম কাজ হবে মুল পিটিশনটির তিনসেট ফটোকপি করা এবং সাক্ষ্য সংক্রান্ত কাগজপত্রের দুই সেট ফটোকপি করা।মুল পিটিশনটি তিন সেট করতে হবে কারণ এক সেট মুল পিটিশনের সাথে আদালতে দাখিল করতে হবে। এটাকে ট্রু কপি বলা হয়। আরেকটি সেট চেম্বারে সংরক্ষণের জন্য এবং বাকি সেটটি মক্কেলকে দিতে হবে।সাক্ষ্য সংক্রান্ত কাগজপত্রের দুই সেট ফটোকপি করতে হয় কারণ এক সেট মামলা দায়েরের সময় আদালতে দাখিল করতে হয় এবং বাকি সেটটি চেম্বারে ফাইলের সাথে রাখতে হয়।

ওকালতনামা ইত্যাদি ক্রয় করা
এরপর আপনাকে একটি ওকালতনামা, একটি প্রসেস ফি, দুইটি ফিরিস্তি ফর্ম এবং প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি কিনতে হবে।তারপর ওকালতনামা, প্রসেস ফি লিখে সম্পন্ন করতে হবে। এগুলো কিভাবে লিখতে হবে তা অন্য কোন পর্বে আলোচনা করবো। এরপর ফিরিস্তি ফর্ম পূরণ করুন। ফিরিস্তি ফর্ম হলো আসলে একটি সুচিপত্র। অর্থাৎ মামলা দায়েরের সময় সাক্ষ্য সংক্রান্ত যে কাগজপত্র দাখিল করবেন তার একটি তালিকা ফিরিস্তি ফর্মে লিখতে হয়। এক্ষেত্রে মুল কাগজ পত্রের জন্য একটি ফিরিস্তি ফর্ম এবং ফটোকপির জন্য আরেকটি ফিরিস্তি ফর্ম লিখতে হয়।

পিটিশন সেলাই করা
লেখা সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে আপনাকে সকল কাগজপত্র সিরিয়াল অনুযায়ী সাজাতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি প্রথমে মুল পিটিশন, তার নিচে ওকালতনামা, ওকালতনামার নিচে প্রসেস ফি, প্রসেস ফির নিচে ফিরিস্ত ফর্ম সহ সাক্ষ্য সংক্রান্ত সকল কাগজ পত্রের ফটোকপি এবং সব শেষে মুল পিটিশনের একটি ফটোকপি দিতে হয়। এভাবে সাজানোর পর পিটিশনের উপরে বামদিকে চারকোনা করে বাধতে হবে। তারপরে মুল পিটিশনের উপরে প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি লাগাতে হবে।

পিটিশন ও ওকালতনামায় স্বাক্ষর
এভাবে সিরিয়ালি সাজানো ্ও বাধাইয়ের পর মুল পিটিশন ও ওকালনামায় মক্কেলের স্বাক্ষর নিতে হবে।পিটিশনের প্রতি পাতায় স্বাক্ষর নিতে হবে। এই স্বাক্ষরটি নিতে হবে প্রথম পাতা সহ প্রতি পাতার উপরে আড়াআাড়িভাবে এবং ওকালতনামার প্রথম পাতায় উপরে আাড়াআড়িভাবে মক্কেলের সাক্ষর নিতে হবে। সাক্ষর করতে অপারগ হলে টিপসহি নিতে হবে।এর পর স্বাক্ষরের জন্য সিনিয়রের কাজে পিটিশনটি দিতে হবে। সিনিয়র পিটিশন এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য স্থানে স্বাক্ষর পূর্বক আপনাকে ফেরত দিবেন। 
[post_ads_2]
আদালতে দাখিল
উল্লেখ্য যে, আদালতে যে মামলা দায়ের করা হয় তাকে সি. আর. মামলা বলা হয়।সি. আর. মামলা সব সময় এখতিয়ার সম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করতে হয়। এই এখতিয়ারটি থানা ভিত্তিক। মামলার ঘটনার স্থান  যে থানার অর্ন্তগত, সেই থানার মামলা আমলে নেয়ার এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে মামলা দায়ের করতে হয়। কোন আদালতে মামলাটি দায়ের করতে হবে সেটি জেনে নিয়ে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে সেই আদালতে গিয়ে আদালতে দায়িত্বরত পিয়নের নিকট সেলাই করা পিটিশনটি জমা দিতে হবে এবং আদালত কয়টায় বসবে তা জেনে নিয়ে সিনিয়রকে জানাতে হবে। আর হ্যা মক্কেলকে সাথে নিয়ে যেতে হবে সিনিয়রের অনুমতি নিয়ে এবং মক্কেল আদালতের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে কোন কোন বিষয় বলবেন তা আগে থেকেই তাকে শিখিয়ে দিতে হবে। মক্কেলকে শপথপূর্বক তার নাম, পিতার নাম, বয়স, ঠিকানা অবশ্যই বলতে হবে। তারপর মামলার ঘটনার বর্ণনা দিতে হয় সংক্ষিপ্ত আকারে। এক্ষেত্রে ঘটনার তারিখ, সময়, স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

বাদীর জবানবন্দি
আদালত বসার পর সময় হলে আপনাদের মক্কেলের নাম ধরে পেশকার ডাকবেন। পেশকার ডাকামাত্রই আপনাদের মক্কেল আদালতের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে জবানবন্দি প্রদান করবেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কাঠগড়া থেকে নেমে জবানবন্দির নিচে আপনাদের মক্কেল স্বাক্ষর করবেন। আপাতত কাজ শেষ। এরপর বিকালের দিকে আপনাদের মামলাটি স্যুট রেজিষ্ট্রারে লিপিবদ্ধ করবেন আদালতের কর্মচারীরা।এক্ষেত্রে আপনাদের মামলা লিপিবদ্ধ হওয়ার পর স্যুট রেজিষ্ট্রার দেখে মামলার নম্বর ও পরবর্তী ধার্য তারিখ নোট করে নিয়ে আপনাদের চেম্বারের ডায়েরীতে তা লিখে রাখতে হবে।

তো মামলা দায়ের করা তো শিখে গেলেন। এখন নিশ্চয় অনেকটা সহজ হয়েছে বিষয়টা আপনার কাছে।আর কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে নিচে মন্তব্যের ঘরে জানাবেন।পরবর্তীতে আমরা দেওয়ানী মামলা কিভাবে দায়ের করতে হয় তা শিখবো ইনশাআল্লাহ।
  • [accordion]
    • লেখক সম্পর্কে জানুন
      • পোস্টটি লিখেছেন- [ মোঃ আজাদুর রহমান ##pencil##] তিনি লিগ্যাল ভয়েস ব্লগের এডমিন ও সম্পাদক। পেশাগত জীবনে তিনি আইনজীবী হিসেবে ঢাকা জজ কোর্টে কর্মরত আছেন।
    • ফ্রি আইনি পরামর্শ পাবেন যেভাবে
      • আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠনের মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু হয়েছে। যারা শহরে বসবাস করেন তারা কোন আইনি জটিলতায় পড়লে খুব সহজেই একজন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে আইনি সমস্যার সমাধান করতে পারেন। কিন্তু যারা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন তারা কোন আইন সমস্যায় পড়লে দিশেহারা হয়ে পড়েন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাসের কারণে আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ করা দুরুহ হয়ে পড়ে। ফলে সমস্যা দিন দিন জটিল হতে থাকে। সঠিক পরামর্শের অভাবে অনেকেই সঠিক পদক্ষেপ না নিয়ে পরিস্থিতি আরও বেশি জটিল করে তোলেন। ফলে সমস্যা থেকে উত্তরণের কোন পথ তো পানই না উল্টো মানসিক ও শারিরীকভাবে ভেঙে পড়েন। তাদের কথা মাথায় রেখে লিগ্যাল ভয়েস কর্তৃপক্ষ প্রশ্নোত্তর বিভাগ চালু করেছে। আপনি খুব সহজেই আমাদেরকে আপনার আইনি সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। পাবেন আইনি সমস্যা থেকে উত্তরণের সঠিক পথ। আমাদের প্রশ্নোত্তর বিভাগে যুক্ত হতে [ এখানে ক্লিক করুন। ] 
    • আপনিও লিখুন আমাদের ব্লগে!
      • সুপ্রিয় লিখিয়ে পাঠক! আপনি জেনে নিশ্চয় আনন্দিত হবেন যে, আইন সচেতন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের এই উদ্যোগ। চাইলে আপনিও হতে পারেন এই গৌরবের একজন গর্বিত অংশীদার। আমাদের ব্লগে নিবন্ধন করে আপনিও হতে পারেন আমাদের সম্মানিত লেখক। লিখতে পারেন আইন-আদালত, পরিবেশ, ইসলামী আইন যেমন কোরআন, হাদিসের আইনগত বিষয়, প্রাকৃতিক আইন, বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কিত প্রতিবেদন বা অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি, অন্যায়, দূর্নীতি, হয়রানী, ইভটিজিং, বেআইনী ফতোয়া, বাল্য বিবাহ ইত্যাদিসহ যাবতীয় আইনগত বিষয়াবলী নিয়ে। আমাদের ব্লগের সদস্য হোন আর হারিয়ে যান জ্ঞান বিকাশের এক উন্মুক্ত দুনিয়ায়!
    • আমাদের কথা
      • লিগ্যাল ভয়েস হলো দেশের  সর্ববৃহৎ এবং একমাত্র আইন সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজের মানুষ সচেতনভাবে কিংবা অসচেতনভাবে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আইনগত জটিলতায় পড়ে জীবন নষ্ট করে ফেলছে। অনেক সময় আইন না জানার কারণে আমাদেরকে বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। একটু আইন জানলে হয়তো এসব ভোগান্তি হতে নিজেকে রক্ষা করা যেত। আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ হলো আইন না জানা কোন অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ কেউ কোন অপরাধ করে যদি বলে আমি আইনটি জানতাম না। জানলে এই অপরাধ টি করতাম না। আইনে এই অজুহাতের কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই। কাজেই আইন জানা ছাড়া আমাদের অন্য কোন বিকল্পও নেই। দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আমাদের বিভিন্ন আইনী জটিলতায় পড়তে হয়। তাই আইন কানুন সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আবশ্যক। আইন জানা আমাদের জন্য এমন অপরিহার্য্য বিষয় হলেও আইন জানার জন্য আমাদের দেশে ভাল কোন প্ল্যাট ফর্ম নেই। বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজ গুলোর বিষয় আলাদা। তাই সাধারণ মানুষের দোর গোড়ায় টুকিটাকি আইন কানুন পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ২০১৮ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু। আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠন করাই লিগ্যাল ভয়েসের মূল উদ্দেশ্য। বিভিন্ন লেখনীর মাধ্যমে লিগ্যাল ভয়েস সাধারণ মানুষের আইন শেখার পিপাসা নিবারণ করে থাকে। এ ছাড়া লিগ্যাল ভয়েস যে কোন ধরনের আইনগত সমস্যায় বিনা খরচে পরামর্শ প্রদান করে থাকে। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকল পাঠককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ।

১টি মন্তব্য

  1. Its very effective post.
    Plz carry on. Best of luck.