Search Suggest

বাংলাদেশের সংবিধান এবং উল্লেখযোগ্য সংশোধনী সমূহ

সংবিধান বলতে সাধারণ একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইনকে নির্দেশ করে। একটি রাষ্ট্রের সরকার কাঠামো থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি, পররাষ্ট্রনীতি, রাষ্ট্রের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা, রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগের কাঠামো এবং ক্ষমতা সম্পর্কে আলোকপাত করে উক্ত দেশের সংবিধান। সংবিধান একটি রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রম এবং আইন ব্যবস্থার কষ্টিপাথর হিসেবে কাজ করে। সর্বোচ্চ আইন হিসেবে রাষ্ট্রের কোন আইন এবং কাজ সংবিধান মোতাবেক না হলে সেটাকে বাতিল হিসেবে ঘোষণা করার ক্ষমতা সংবিধান নিজেই উক্ত দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ওপর দিয়ে থাকে।


একটা রাষ্ট্রের সংবিধান এবং রাষ্ট্র কাঠামো কেমন হবে অনেকাংশে নির্ভর করে সেই রাষ্ট্রের জন্মের ধরনের ওপর মানে কীভাবে এবং কোন লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে সেই রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে। সে হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধানকে Autochthonous ধরনের। মানে বাংলাদেশের সংবিধান বাংলাদেশের জনগণ নিজেই নিজেদেরকে দিয়েছে। কোন উচ্চ বা ঔপনিবেশিক শক্তির সাথে আপোষের মাধ্যমে কিংবা কোন আইন বা ক্ষমতাবলে এই সংবিধান তৈরি হয়নি।

যেমনটা ভারত এবং পাকিস্তান ভারত স্বাধীনতা আইন এবং ভারত শাসন আইনের মাধ্যমে নিজেদের জন্য একটা সংবিধান প্রণয়ন করার ক্ষমতা পেয়েছিলো। বাংলাদেশ একপাক্ষিক স্বাধীনতা ঘোষণা অর্থাৎ Unilateral Declaration Of Independence এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান বলা যেতে পারে, কেননা বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ২৬-এ মার্চ আর সংবিধান ছাড়া একটা দেশ কখনও চলতে পারেনা তাই যুদ্ধকালীন সময়টাতে মুজিবনগর সরকার গঠন এবং তার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাময়িক একটি সংবিধানের প্রয়োজন হয় এবং তার ফলই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র যেটা বাংলাদেশের সাংবিধানিক যাত্রার প্রথম ধাপ। এই ঘোষণাপত্র মতে বাংলাদেশকে রাষ্ট্রপতি শাসিত প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং সরকারের সকল বিভাগের কার্যক্রমের একচ্ছত্র ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির ওপর অর্পিত হয়।

১০ ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর ১১ই জানুয়ারি Provisional Constitution Order, 1972 ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাংবিধানিক যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। এই আদেশমতে বাংলাদেশকে রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী শাসিত রাষ্ট্রে উন্নীত করা হয় এবং ১৯৭০ সালে গণপরিষদ এবং প্রাদেশিক নির্বাচনে বিজয়ী সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নতুন এবং পূর্নাঙ্গ সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে গণপরিষদ গঠিত হয়। যদিও ভাসানী এবং মোজাফফর আহমেদের ন্যাপসহ বিভিন্ন মহল থেকে এই পরিষদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে কেননা পাকিস্তান আমলে নির্বাচিত সদস্যদের দ্বারা স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কতটুকু যৌক্তিক তাছাড়া তৎকালীন অন্যতম জনপ্রিয় দল ভাসানীর ন্যাপ উক্ত নির্বাচন বয়কট করে। যেহেতু বাংলাদেশ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে সুতরাং এদেশের জনগণের মাঝে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন আসতে পারে তাই বিভিন্ন মহল থেকে পূনরায় গণপরিষদ নির্বাচনের প্রস্তাব আসতে থাকে। তবে শেষ অবধি বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বের কারণে নতুন নির্বাচনের প্রস্তাব জোরালো হতে পারে না।

৪০৩ জনের গণপরিষদে ৪০০ জনই ছিলেন আওয়ামী লীগের আর একমাত্র সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন বিরোধী দলের আর আদিবাসীদের মধ্যে ছিলেন মানবেন্দ্র নারায়ন মারমা।যেহেতু একই দল থেকে অধিকাংশ সদস্য গণপরিষদের সদস্য হয় সুতরাং বাংলাদেশের সংবিধান এবং সরকার কাঠামো নিয়ে আলোচনা বা বিতর্কের সুযোগ অনেকাংশে কমে আসে। বলা যেতে পারে বাংলাদেশের সংবিধান বঙ্গবন্ধুর একক সিদ্ধান্তেরই বহিঃপ্রকাশ। ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর একটা সিদ্ধান্ত অর্থাৎ সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ যেখানে বলা আছে কোন সংসদ সদস্য সংসদে দলীয় সিদ্ধান্তের বিপরীতে ভোট দিলে তার সদস্য পদ বাতিল হবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে গেলে বঙ্গবন্ধু তাকে থামিয়ে দেন। এরপরে বঙ্গবন্ধুর অসীম এবং অসামান্য ব্যক্তিত্বের সামনে কেউ কোন কথা বলতে সাহস করেনি।

শুধুমাত্র সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সরকার পদ্ধতি, বিচার বিভাগ এবং মৌলিক অধিকার নিয়ে কিছু বিতর্ক করেন। শেষ অবধি তিনি শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে অটল থেকে সংবিধানে সাক্ষর করা থেকে বিরত থাকেন। আর মানবেন্দ্র নারায়ন মারমা সকল আদিবাসী উপজাতিদের বিষয় আমলে নিয়ে জাতি হিসেবে বাংলাদেশী গ্রহণের প্রস্তাব করলে তার অনুরোধও অগ্রাহ্য হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

অবশেষে ৪ঠা নভেম্বর ১৯৭২ বাংলাদেশের পূর্নাঙ্গ সংবিধান গণপরিষদে অনুমোদিত এবং গৃহীত হয়। প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান করে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত ব্রিটিশ ওয়েস্টমিনস্টার টাইপ সরকার ব্যবস্থা গৃহীত হয়। রাষ্ট্রের মূলনীতি করা হয় গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়বাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ। তৃতীয়ভাগে রাখা হয় নাগরিকের আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য মৌলিক অধিকার আর দ্বিতীয়ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসহ আদালতের মাধ্যম অবলবৎযোগ্য খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ কিছু অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অধিকার। সর্বোচ্চ আদালতকে জুডিসিয়াল রিভিউয়ের ক্ষমতা দিয়ে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়। আর সাংসদকে আইন প্রণয়নসহ, জণগণের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের সকল কাজের জবাবদিহি নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়।

সমকালীন সময় বাস্তবতায় বাহাত্তরের এই সংবিধানকে অন্যতম ভালো, সময়োপযোগী এবং যথাযথ সংবিধান বলা যেতে পারে। স্বাধীনতার মাত্র এক বছরের ভিতরে এরকম একটি পূর্ণাঙ্গ এবং যথাযথ সংবিধান প্রণয়ন বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে একটি গৌরবের কাজ।

সকল দেশেই বিভিন্ন বাস্তবতা এবং উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কিংবা কখনও ক্ষমতাশীনদের নিজ স্বার্থে মূল সংবিধান সংশোধন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের মূল সংবিধানটি সর্বমোট ১৯ বার সংশোধিত হয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনায় নিম্নে কিছু সংশোধনী সম্পর্কে বলা হলো:-
২য় সংশোধনীর(১৯৭৩) মাধ্যমে জরুরি অবস্থা জারি সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয় এবং নিবর্তনমূলক আটককে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়া হয়। যার ফলশ্রুতিতে সমালোচিত বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রণয়ন করা হয়।

৩য় সংশোধনী(১৯৭৩) আদালতের একটি রায়ের ফলশ্রুতিতে আনা হয়। নুন-নেহেরু প্যাক্টের মাধ্যমে যে দক্ষিণ বেরুবারি পূর্ব পাকিস্তান পায় সেটা মুজিব-ইন্দ্রিয়া চুক্তির মাধ্যমে ভারত ধরে রাখে বিনিময়ে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল আর তিনবিঘা করিডর বাংলাদেশকে দেয়। এই চুক্তি চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা হলে আদালত সংবিধান সংশোধন করতে নির্দেশ দেয় কেননা এটা রাষ্ট্রের সীমানা পরিবর্তন করে দেয়।

৪র্থ সংশোধনী(১৯৭৪) অনেক বিতর্কের জন্ম দেয়। মূল সংবিধানের একদম মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করে দেয়।তৎকালীন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বঙ্গবন্ধু সংবিধান সংশোধন করে আবার রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার কাঠামো ফিরিয়ে আনে। একদলীয় সরকার ব্যবস্থা কায়েম করে। সংসদ এবং বিচারবিভাগের ক্ষমতা হ্রাস করা হয়।

৫ম সংশোধনীও (১৯৭৯)অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং সমালোচিত। এই সংশোধনীর মাধ্যমে ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পর থেকে ৭৯ পর্যন্ত সকল সামরিক কর্মকাণ্ড এবং জারিকৃত সামরিক আদেশ - ঘোষণাকে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দেওয়া হয় । বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়, বিচারবিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়, সংবিধানের প্রস্তাবনায় বিরাট এক পরিবর্তন আনা হয় সেটা হচ্ছে মুক্তির সংগ্রামের পরিবর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধ লেখা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রাষ্ট্রের মূলনীতি পরিবর্তন করা হয়। ধর্মনিরপেক্ষতবাদ বাতিল করে সেখানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাসে, বাঙালির পরিবর্তে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্রের পরিবর্তে সমাজতন্ত্রের অর্থ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সংবিধানের শুরুতে বিসমিল্লাহ লেখা হয়। তাছাড়া পররাষ্ট্র নীতি পরিবর্তন করে ইসলামি রাষ্ট্রসমুহের সাথে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলা হয়।

৭ম সংশোধনী (১৯৮৬) এরশাদের সামরিক শাসনকে বৈধতা দেয়।

৮ম সংশোধনীর(১৯৮৮) মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম কে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং সারাদেশে হাইকোর্টের ৬ টি স্থায়ী বেঞ্চ বসানোর কথা বলা হয়।

১২ তম সংশোধনীর (১৯৯১) মাধ্যমে আবার সংসদীয় মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার কাঠামো ফিরিয়ে আনা হয়।

১৩ তম সংশোধনীর (১৯৯৬) মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু করা হয়।

১৫ তম সংশোধনী (২০১১) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সংশোধনীর মাধ্যমে কিছুকিছু বাদে বাহাত্তরের মূল সংবিধানের প্রায় অধিকাংশ ফিরিয়ে আনা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ৮(ক) অনুচ্ছেদ যেটা সংবিধানের প্রস্তাবনা, ১ম, ২য়, ৩য় সহ বেশকিছু অনুচ্ছেদ সংশোধন অযোগ্য করা হয়৷

১৬ তম সংশোধনীর (২০১৪) মাধ্যমে বাহাত্তরের মূল সংবিধান মতে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেওয়া হয়। এটা নিয়ে বিরাট তুলকালাম ঘটে গেলো কিছুদিন আগে। সুতরাং এই সংশোধনী সম্পর্কে আশা করি সকলেই অবগত।

উল্লেখ্য ৫ম, ৭ম, ৮ম, ১৩তম এবং ১৬তম সংশোধনী আদালত সংবিধানের মৌলিক কাঠামো বিরোধী হওয়ায় বাতিল করে। এগুলো অন্য আলোচনার বিষয়।

  • [accordion]
    • লেখক সম্পর্কে জানুন
      • পোস্টটি লিখেছেন- [ ইশতিয়াক আহমেদ ##pencil##]  তিনি একজন ছাত্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগেে ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত। জন্ম তারিখ ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৯৮। জেলা ঝিনাইদহ।
    • ফ্রি আইনি পরামর্শ পাবেন যেভাবে
      • আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠনের মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু হয়েছে। যারা শহরে বসবাস করেন তারা কোন আইনি জটিলতায় পড়লে খুব সহজেই একজন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে আইনি সমস্যার সমাধান করতে পারেন। কিন্তু যারা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন তারা কোন আইন সমস্যায় পড়লে দিশেহারা হয়ে পড়েন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাসের কারণে আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ করা দুরুহ হয়ে পড়ে। ফলে সমস্যা দিন দিন জটিল হতে থাকে। সঠিক পরামর্শের অভাবে অনেকেই সঠিক পদক্ষেপ না নিয়ে পরিস্থিতি আরও বেশি জটিল করে তোলেন। ফলে সমস্যা থেকে উত্তরণের কোন পথ তো পানই না উল্টো মানসিক ও শারিরীকভাবে ভেঙে পড়েন। তাদের কথা মাথায় রেখে লিগ্যাল ভয়েস কর্তৃপক্ষ প্রশ্নোত্তর বিভাগ চালু করেছে। আপনি খুব সহজেই আমাদেরকে আপনার আইনি সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। পাবেন আইনি সমস্যা থেকে উত্তরণের সঠিক পথ। আমাদের প্রশ্নোত্তর বিভাগে যুক্ত হতে [ এখানে ক্লিক করুন। ] 
    • আপনিও লিখুন আমাদের ব্লগে!
      • সুপ্রিয় লিখিয়ে পাঠক! আপনি জেনে নিশ্চয় আনন্দিত হবেন যে, আইন সচেতন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের এই উদ্যোগ। চাইলে আপনিও হতে পারেন এই গৌরবের একজন গর্বিত অংশীদার। আমাদের ব্লগে নিবন্ধন করে আপনিও হতে পারেন আমাদের সম্মানিত লেখক। লিখতে পারেন আইন-আদালত, পরিবেশ, ইসলামী আইন যেমন কোরআন, হাদিসের আইনগত বিষয়, প্রাকৃতিক আইন, বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কিত প্রতিবেদন বা অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি, অন্যায়, দূর্নীতি, হয়রানী, ইভটিজিং, বেআইনী ফতোয়া, বাল্য বিবাহ ইত্যাদিসহ যাবতীয় আইনগত বিষয়াবলী নিয়ে। আমাদের ব্লগের সদস্য হোন আর হারিয়ে যান জ্ঞান বিকাশের এক উন্মুক্ত দুনিয়ায়!
    • আমাদের কথা
      • লিগ্যাল ভয়েস হলো দেশের  সর্ববৃহৎ এবং একমাত্র আইন সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজের মানুষ সচেতনভাবে কিংবা অসচেতনভাবে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আইনগত জটিলতায় পড়ে জীবন নষ্ট করে ফেলছে। অনেক সময় আইন না জানার কারণে আমাদেরকে বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। একটু আইন জানলে হয়তো এসব ভোগান্তি হতে নিজেকে রক্ষা করা যেত। আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ হলো আইন না জানা কোন অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ কেউ কোন অপরাধ করে যদি বলে আমি আইনটি জানতাম না। জানলে এই অপরাধ টি করতাম না। আইনে এই অজুহাতের কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই। কাজেই আইন জানা ছাড়া আমাদের অন্য কোন বিকল্পও নেই। দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আমাদের বিভিন্ন আইনী জটিলতায় পড়তে হয়। তাই আইন কানুন সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আবশ্যক। আইন জানা আমাদের জন্য এমন অপরিহার্য্য বিষয় হলেও আইন জানার জন্য আমাদের দেশে ভাল কোন প্ল্যাট ফর্ম নেই। বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজ গুলোর বিষয় আলাদা। তাই সাধারণ মানুষের দোর গোড়ায় টুকিটাকি আইন কানুন পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ২০১৮ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু। আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠন করাই লিগ্যাল ভয়েসের মূল উদ্দেশ্য। বিভিন্ন লেখনীর মাধ্যমে লিগ্যাল ভয়েস সাধারণ মানুষের আইন শেখার পিপাসা নিবারণ করে থাকে। এ ছাড়া লিগ্যাল ভয়েস যে কোন ধরনের আইনগত সমস্যায় বিনা খরচে পরামর্শ প্রদান করে থাকে। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকল পাঠককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন