Search Suggest

অর্থঋণ ও চেকের মামলা পাশাপাশি চলা সম্পর্কে আইনি নজীর


সংবিধানের ৩৫(২) নং অনুচ্ছেদে   দোবারা দোষ নীতি টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং এই ধারণাটি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৩ নং ধারায় স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইনের এই নীতিটি সেই ব্যক্তির জন্য একটা রক্ষাকবচ যিনি একটা অপরাধের জন্য একবার শাস্তি বা খালাস পেয়েছেন। এই নীতিটি তখনই প্রযোজ্য হবে যখন উভয় কার্যধারাই ফৌজদারি কার্যধারা হবে এবং দুটো বিচারই একই অপরাধের জন্য হবে। দুটি কার্যধারা যার একটা দেওয়ানী এবং অপরটি ফৌজদারি, এমন ক্ষেত্রে এই নীতিটি প্রযোজ্য নয়৷ একই ঘটনা থেকে যদি একটা দেওয়ানী ও আরেকটা ফৌজদারি মামলা হয় তাহলে উভয় মামলায় পাশাপাশি চলতে পারে।         

Constitution of Bangladesh, 1972
Article 35(2)
Code of Criminal Procedure (V of 1898)
Section 403

The principle of double jeopardy, as argued before us, has been incorporated in Article 35(2) of the Constitution and the concept is firmly established in section 403 of the Cr.P.C. The principle protects a person from trial for the same offence for which he has already been convicted or acquitted (autrefois convict or autrefois acquit). The protection is available only when both the proceedings are for criminal proceedings and both the prosecutions are for the same offence. Here, we are dealing with two proceedings, one is criminal and the other is civil. Therefore, the principle of double jeopardy has no manner of application to the issue in hand.  The proposition of law, which is no longer a res integra, is that a criminal case and civil suit, though arising out of the same transaction, can proceed simultaneously.
(সংবিধানের ৩৫(২) নং অনুচ্ছেদে   দোবারা দোষ নীতি টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং এই ধারণাটি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৩ নং ধারায় স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইনের এই নীতিটি সেই ব্যক্তির জন্য একটা রক্ষাকবচ যিনি একটা অপরাধের জন্য একবার শাস্তি বা খালাস পেয়েছেন। এই নীতিটি তখনই প্রযোজ্য হবে যখন উভয় কার্যধারাই ফৌজদারি কার্যধারা হবে এবং দুটো বিচারই একই অপরাধের জন্য হবে। দুটি কার্যধারা যার একটা দেওয়ানী এবং অপরটি ফৌজদারি, এমন ক্ষেত্রে এই নীতিটি প্রযোজ্য নয়৷ একই ঘটনা থেকে যদি একটা দেওয়ানী ও আরেকটা ফৌজদারি মামলা হয় তাহলে উভয় মামলায় পাশাপাশি চলতে পারে)                                   

Code of Criminal Procedure, (V of 1898)
Section 344

It is not an invariable rule that there cannot be any parallel proceedings on the same facts in Criminal and Civil courts. At the same time, section 344 of the Cr.P.C. vests power upon the Court to postpone or adjourn criminal proceedings ‘for any other reasonable cause’. Thus, proceedings in Criminal Court should be stayed or adjourned where identical issues based on same facts as in criminal cases are involved in suits pending in Civil Court.
(এটা কোন অপরিবর্তনীয় নিয়ম নয় যে একই ঘটনায় দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালতে কোন সমন্তরাল কার্যধারা বা প্রসিডিংস হতে পারে না। একই সাথে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪৪ ধারা মতে আদালত কোন যুক্তি সংগত কারণে ফৌজদারি কার্যধারা মুলতবি বা স্থগিত রাখতে পারেন।  এজন্য একই ঘটনায় উদ্ভুত দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলায় যদি অভিন্ন কোন ইস্যু থাকে তাহলে ফৌজদারি আদালতের কার্যধারা মূলতবি বা স্থগিত রাখা উচিত)         

Negotiable Instruments Act (XXVI of 1881)
Section 138

Artha Rin Adalat Ain (VIII of 2003)
Section 41

Code of Criminal Procedure (V of 1898)
Sections 344 and 561A

In the case in hand, a sentence of fine under section 138 of the Act, 1881 may result in a proceeding of execution of decree (section 386(3) of the Cr.P.C.). Again, the same person may face an execution of decree proceeding under the Artha Rin Adalat Ain, 2003 for the same loan transactions which may together exceed the actual claimed amount. If the accused decides to file appeal against the sentence of fine as well as the decree passed in Artha Rin Suit, he has to deposit 50% of the amount of the dishonoured cheque and 50% of the decretal amount which in aggregate would almost cover the claimed amount. This may lead to unjust enrichment and thus, the inconvenience through legal process may lead to absurdity. The ends of justice and fairness demand that the process of law must not be allowed to cause or result in ‘absurd inconvenience’. For the reasons discussed above, the case in hand, in our view, falls within the category of rarest of rare cases where an order of stay of the criminal proceedings under the Act, 1881 during pendency of the Artha Rin Suit which are between the same parties and over the same loan transactions, should be passed to give effect to section 344 of the Cr.P.C. in order to prevent abuse of the process of the Court and to secure the ends of justice.
(১৮৮১ সালের আইনের ১৩৮ অনুচ্ছেদের অধীনে  প্রদত্ত জরিমানা ডিক্রিজারী কার্যক্রম এর মাধ্যমে (সিআরপি.সি. এর ধারা ৩৮৬ (৩)) কার্যকর করা যেতে পারে। আবার, একই ব্যক্তি একই ঋণ সংক্রান্ত লেনদেনের জন্য অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর অধীনে ডিক্রিজারী কার্যধারার মুখোমুখি হতে পারে যা একসাথে প্রকৃত দাবিযুক্ত পরিমাণকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি জরিমানার শাস্তির বিরুদ্ধে এবং পাশাপাশি অর্থঋণ আদালত এর ডিক্রিের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তাকে তর্কিত চেকের পরিমাণের ৫০% এবং ডিক্রির পরিমাণের ৫০% টাকা জমা করতে হবে যা সামগ্রিকভাবে দাবিকৃত টাকাস প্রায় সমান। এটা অন্যায্য সমৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করতে পারে এবং আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অসুবিধাকে অযৌক্তিকতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। আইনি প্রক্রিয়া অবশ্যই ‘অবাস্তব অসুবিধা’ কে অনুমতি দিবে না এটাই ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করে। অত্র মামলাটি দুর্লভ মামলা গুলোর মধ্যে একটি। একই পক্ষগণের মধ্যে একই ঋণ সংক্রান্ত ব্যাপারে অর্থঋণ আদালতে মামলা চলমান থাকায় ন্যায়বিচার ও আইনের অপব্যবহার রোধে পাশাপাশি সিআরপিসির ৩৪৪ ধারা কার্যকর করতে  ১৮৮১ সালের আইনের অধীনে আনিত ফৌজদারি কার্যধারা স্থগিত রাখা উচিত)
MD. SIRAJUDDWLA VS. THE STATE AND ANOTHER 2017 (1) LNJ 177
  • [accordion]
    • লেখক সম্পর্কে জানুন
      • পোস্টটি লিখেছেন- [ মোঃ আজাদুর রহমান ##pencil##] তিনি লিগ্যাল ভয়েস ব্লগের এডমিন ও সম্পাদক। পেশাগত জীবনে তিনি আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে কর্মরত আছেন।
    • ফ্রি আইনি পরামর্শ পাবেন যেভাবে
      • আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠনের মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু হয়েছে। যারা শহরে বসবাস করেন তারা কোন আইনি জটিলতায় পড়লে খুব সহজেই একজন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে আইনি সমস্যার সমাধান করতে পারেন। কিন্তু যারা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন তারা কোন আইন সমস্যায় পড়লে দিশেহারা হয়ে পড়েন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাসের কারণে আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ করা দুরুহ হয়ে পড়ে। ফলে সমস্যা দিন দিন জটিল হতে থাকে। সঠিক পরামর্শের অভাবে অনেকেই সঠিক পদক্ষেপ না নিয়ে পরিস্থিতি আরও বেশি জটিল করে তোলেন। ফলে সমস্যা থেকে উত্তরণের কোন পথ তো পানই না উল্টো মানসিক ও শারিরীকভাবে ভেঙে পড়েন। তাদের কথা মাথায় রেখে লিগ্যাল ভয়েস কর্তৃপক্ষ প্রশ্নোত্তর বিভাগ চালু করেছে। আপনি খুব সহজেই আমাদেরকে আপনার আইনি সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। পাবেন আইনি সমস্যা থেকে উত্তরণের সঠিক পথ। আমাদের প্রশ্নোত্তর বিভাগে যুক্ত হতে [ এখানে ক্লিক করুন। ] 
    • আপনিও লিখুন আমাদের ব্লগে!
      • সুপ্রিয় লিখিয়ে পাঠক! আপনি জেনে নিশ্চয় আনন্দিত হবেন যে, আইন সচেতন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের এই উদ্যোগ। চাইলে আপনিও হতে পারেন এই গৌরবের একজন গর্বিত অংশীদার। আমাদের ব্লগে নিবন্ধন করে আপনিও হতে পারেন আমাদের সম্মানিত লেখক। লিখতে পারেন আইন-আদালত, পরিবেশ, ইসলামী আইন যেমন কোরআন, হাদিসের আইনগত বিষয়, প্রাকৃতিক আইন, বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কিত প্রতিবেদন বা অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি, অন্যায়, দূর্নীতি, হয়রানী, ইভটিজিং, বেআইনী ফতোয়া, বাল্য বিবাহ ইত্যাদিসহ যাবতীয় আইনগত বিষয়াবলী নিয়ে। আমাদের ব্লগের সদস্য হোন আর হারিয়ে যান জ্ঞান বিকাশের এক উন্মুক্ত দুনিয়ায়!
    • আমাদের কথা
      • লিগ্যাল ভয়েস হলো দেশের  সর্ববৃহৎ এবং একমাত্র আইন সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজের মানুষ সচেতনভাবে কিংবা অসচেতনভাবে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আইনগত জটিলতায় পড়ে জীবন নষ্ট করে ফেলছে। অনেক সময় আইন না জানার কারণে আমাদেরকে বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। একটু আইন জানলে হয়তো এসব ভোগান্তি হতে নিজেকে রক্ষা করা যেত। আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ হলো আইন না জানা কোন অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ কেউ কোন অপরাধ করে যদি বলে আমি আইনটি জানতাম না। জানলে এই অপরাধ টি করতাম না। আইনে এই অজুহাতের কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই। কাজেই আইন জানা ছাড়া আমাদের অন্য কোন বিকল্পও নেই। দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আমাদের বিভিন্ন আইনী জটিলতায় পড়তে হয়। তাই আইন কানুন সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আবশ্যক। আইন জানা আমাদের জন্য এমন অপরিহার্য্য বিষয় হলেও আইন জানার জন্য আমাদের দেশে ভাল কোন প্ল্যাট ফর্ম নেই। বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজ গুলোর বিষয় আলাদা। তাই সাধারণ মানুষের দোর গোড়ায় টুকিটাকি আইন কানুন পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ২০১৮ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু। আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠন করাই লিগ্যাল ভয়েসের মূল উদ্দেশ্য। বিভিন্ন লেখনীর মাধ্যমে লিগ্যাল ভয়েস সাধারণ মানুষের আইন শেখার পিপাসা নিবারণ করে থাকে। এ ছাড়া লিগ্যাল ভয়েস যে কোন ধরনের আইনগত সমস্যায় বিনা খরচে পরামর্শ প্রদান করে থাকে। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকল পাঠককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন