Search Suggest

আদালতে হাতেখড়ি (৪র্থ পর্ব): আদালতে দেওয়ানী মামলা যেভাবে দায়ের করা হয়


সবারই স্বপ্ন থাকে বড় হয়ে একটি সন্মানজনক পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করে ক্যারিয়ারকে উজ্জল করার। বাংলাদেশে যতগুলো আত্মনির্ভরকেন্দ্রিক ও সম্মানজনক পেশা রয়েছে তার মধ্যে আইন পেশা হলো সবার পরিচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। এই পেশাকে রয়্যাল বা রাজকীয় পেশাও বলা হয়ে থাকে।শতাব্দীর পর শতাব্দী আইন পেশা স্বীকৃত হয়ে আসছে সম্মান ও ঐতিহ্যের পেশা হিসেবে।  এ পেশায় এসে একজন ব্যক্তি যেমন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন, তেমনি সমাজে সবার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করারও সুযোগ পেয়ে থাকেন। সমাজ গঠনে অনস্বীকার্য ভূমিকা রাখার জন্য আইনজীবীদেরকে সোস্যাল ডক্টর বা সামাজিক ডাক্তার হিসেবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।এই পেশার গুরুত্ব অনুধাবন করে বর্তমান প্রজন্মের এই পেশায় নিজের ক্যারিয়ার গড়ার আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আইনজীবী হওয়ার যে স্বপ্ন নিয়ে একজন তরুণ বা তরুণী আইন পড়া শেষে আদালত অঙ্গনে পা রাখে, কঠিন বাস্তবতার চোরাবালিতে সেই স্বপ্ন ধীরে ধীরে বিলীন হতে থাকে।আশানুরুপ ফল না পাওয়ায় হতাশা আর ধৈর্য্যহারা হয়ে ছিটকে পড়েন এই পেশা থেকে। এর পিছনে ছোট বড় অনেকগুলো কারণ থাকলেও মূলতঃ আদালত পাড়ায় এসে কি করবো, কিভাবে করবো, কোথা থেকে শুরু করবো ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে দ্বিধা দ্বন্বে পড়ে যাওয়াও অন্যতম একটি কারণ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজগুলোতে আইনের তাত্ত্বিক বিষয়ের উপর শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু আদালত পাড়ায় ওকালতি জীবন শুরু করতে এসে সবকিছু নতুন মনে হয়।কারণ এখানে তাত্তিক জ্ঞানের চেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে ব্যবহারিক জ্ঞানের যেটি বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজগুলোতে শেখানো হয় না।তাই বর্তমান প্রজন্ম  আইনজীবী হওয়ার যে মহৎ স্বপ্ন নিয়ে  আদালত পাড়ায় পা রাখে তাদের সেই মহৎ স্বপ্ন  পূরণে নিবিঘ্নে কাজ করে যেতে পারে সে জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র আয়োজন। আমি চেষ্টা করবো এই লেখার মাধ্যমে আদালতের ব্যবহারিক কাজগুলো এমনভাবে শিখিয়ে দেওয়ার যেন সবার মনে হয় যে তারা হাতেকলমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

গত পর্বে আমরা শিখেছিলাম একটি ফৌজদারি মামলা কিভাবে দায়ের করতে হয়। যারা পড়েননি তারা উক্ত পোস্টটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন। আজ আমরা একটি দেওয়ানী মামলা কিভাবে দায়ের করতে হয় সে বিষয়ে শিখবো। সি. আর. মামলা প্রস্তুতের তুলনায় দেওয়ানী মামলা প্রস্তুত করা একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবুও আমরা আজ খুব সহজেই একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করা শিখবো।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি ফটোকপি করা
আপনার সিনিয়র মামলা লিখে মামলার মুল আরজিটি কার্টিজ পেপারে প্রিন্ট দিবেন।এরপর প্রিন্টেড আরজিটি আপনার হাতে দিয়ে মামলাটি দায়ের করার গুরু দায়িত্বটি দিবেন। আপনাকে সাবধানতার সাথে কাজগুলি সম্পন্ন করতে হবে।মুল আরজি এবং মামলার সাক্ষ্য সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর আপনার প্রথম কাজ হবে ফটোকপি করা। এক্ষেত্রে মামলায় যতজনকে বিবাদী করা হয়েছে প্রত্যেক বিবাদীর জন্য মুল আরজির এক সেট ফটোকপি করতে হবে।অর্থাৎ মামলায় যদি ১০ জনকে বিবাদী করা হয় তাহলে আপনাকে মুল আরজিটির ১০ সেট ফটোকপি করতে হবে এবং এ ছাড়াও অতিরিক্ত আরও দুই সেট ফটোকপি করতে হবে চেম্বারের ফাইলে রাখার জন্য এবং মক্কেলকে একসেট প্রদানের জন্য। এছাড়া সাক্ষ্য সংক্রান্ত সকল কাগজপত্রের দুই সেট ফটোকপি করতে হবে।সাক্ষ্য সংক্রান্ত কাগজপত্রের দুই সেট ফটোকপি করতে হয় কারণ এক সেট মামলা দায়েরের সময় আদালতে দাখিল করতে হয় এবং বাকি সেটটি চেম্বারে ফাইলের সাথে রাখতে হয়।
[post_ads]
ওকালতনামা ইত্যাদি ক্রয় করা
এরপর আপনাকে কিছু কেনাকাটা করতে হবে।এক্ষেত্রে কি কি কিনতে হবে তার একটি তালিকা চেম্বারে বসে করে নিতে হবে যাতে করে কিনতে গিয়ে কোন কিছু বাদ না পড়ে যায়। দেওয়ানী মামলা ফাইলের জন্য আপনার দরকার পড়বে -
  • একটি ওকালতনামা;
  • একটি প্রসেস ফি;
  • দুইটি ফিরিস্তি ফর্ম;
  • একজন বিবাদীর জন্য তিনটি করে সমন (মনে রাখবেন, দেওয়ানী মামলার সমন এবং ফৌজদারি মামলার সমন এক নয়। এছাড়া পারিবারিক মামলা, জারী মামলা ও মিসকেইসের সমন আলাদা আলাদা হয়) অর্থাৎ আপনাদের মামলায় যদি ১০ জনকে বিবাদী করা হয় তাহলে আপনাকে মোট ৩০ টি সমন কিনতে হবে;
  • প্রত্যেক বিবাদীর জন্য একটি করে খাম ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (এডি কার্ড) (মনে রাখবেন, খামের সাথে প্রয়োজন অনুসারে ডাক টিকেট লাগাতে হয়। এটি মামলা দায়েরের সময়ও লাগানো যায় কিংবা পরবর্তীতে ডাক পোস্টের সময়ও লাগানো যায়); এবং
  • প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি কিনতে হবে।
তারপর ওকালতনামা, প্রসেস ফি, সমন, এডিসহ খাম ইত্যাদি সাবধানতার সাথে লিখে সম্পন্ন করতে হবে। এগুলো কিভাবে লিখতে হবে তা অন্য কোন পর্বে আলোচনা করবো। এরপর ফিরিস্তি ফর্ম পূরণ করুন। ফিরিস্তি ফর্ম হলো আসলে একটি সুচিপত্র। অর্থাৎ মামলা দায়েরের সময় সাক্ষ্য সংক্রান্ত যে কাগজপত্র দাখিল করবেন তার একটি তালিকা ফিরিস্তি ফর্মে লিখতে হয়। এক্ষেত্রে মুল কাগজ পত্রের জন্য একটি ফিরিস্তি ফর্ম এবং ফটোকপির জন্য আরেকটি ফিরিস্তি ফর্ম লিখতে হয়। আর সমন  ও এডিসহ খাম লেখার সময় একজন বিবাদীর জন্য তিনটি করে সমন লিখবেন, একটি খাম ও এডি লিখবেন। এরপর উক্ত লিখিত তিনটি সমন, একটি এডিসহ খাম ও এর সাথে আরজির একটি ফটোকপি যুক্ত করে স্ট্যাপলার দিয়ে পিন মেরে রাখতে পারেন।সমন লেখার সময় অবশ্যই সিরিয়াল মেইটেইন করতে হবে। যেমন এক নম্বর বিবাদীর জন্য নির্ধারিত তিনটি সমনের প্রত্যেকটিতেই (১) লিখে রাখতে হয় যাতে করে বোঝা যায় যে এই সমনগুলো এক নম্বর বিবাদীর। দশ নম্বর বিবাদী হলে দশ নম্বর বিবাদীর জন্য লিখিত তিনটি সমনেই (১০) লিখে রাখতে হয়।

আরজি সেলাই করা
দেওয়ানী মামলার ফাইল আসলে একটু মোটা হয়। লেখা সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে আপনাকে সকল কাগজপত্র সিরিয়াল অনুযায়ী সাজাতে হবে। এক্ষেত্রে-
  • প্রথমে মুল আরজি;
  • তার নিচে ওকালতনামা;
  • ওকালতনামার নিচে প্রসেস ফি;
  • প্রসেস ফির নিচে ফিরিস্ত ফর্ম সহ সাক্ষ্য সংক্রান্ত সকল কাগজ পত্রের ফটোকপি; এবং 
  • এরপর একজন বিবাদীর জন্য লিখিত তিনটি সমন+আরজির ফটোকপি+এডিসহ খাম এভাবে সবগুলি সমন, আরজির ফটোকপি ও এডিসহ খাম দিতে হয়। মনে রাখবেন, সমন সাজানোর সময় অবশ্যই ক্রমিক অনুসরণ করবেন অর্থাৎ এক নম্বর বিবাদীর সমন আগে ও সর্বশেষ বিবাদীর সমন সর্বশেষে দিয়ে সাজানোর পর আরজির উপরে বামদিকে চারকোনা করে মোটা সুতা দিয়ে সেলাই করতে হবে। 
তারপরে মুল আরজির উপরে প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি লাগাতে হবে।কিন্তু কোর্ট ফি এর পরিমাণ যদি ৩০০ টাকার অধিক হয়ে যায় তাহলে চালানের মাধ্যমে কোর্ট ফি দিতে হয়। কিভাবে চালানের মাধ্যমে কোর্ট ফি উত্তোলন করতে হয় এবং কোর্ট ফির মধ্যে লিখতে হয় সেটা আমরা অন্য পর্বে শিখে নেব।

আরজি ও ওকালতনামায় স্বাক্ষর
এভাবে সিরিয়ালি সাজানো ্ও বাধাইয়ের পর মুল আরজি ও ওকালনামায় মক্কেলের স্বাক্ষর নিতে হবে।আরজির প্রতি পাতায় পাতায় স্বাক্ষর নিতে হবে। এই স্বাক্ষরটি নিতে হবে প্রথম পাতা সহ প্রতি পাতার উপরে আড়াআাড়িভাবে এবং সর্বশেষ পাতায় নিচের দিকে সত্যপাঠ বলে একটি কথা থাকে। এই সত্যপাঠের উপরে স্বাক্ষর নিতে হবে। অনেকগুলো বাদী থাকলে সত্যপাঠে যেকোন একজনের স্বাক্ষর নিলেই চলে।এছাড়া ওকালতনামার প্রথম পাতায় উপরে আাড়াআড়িভাবে মক্কেলের সাক্ষর নিতে হবে। সাক্ষর করতে অপারগ হলে টিপসহি নিতে হবে।এর পর স্বাক্ষরের জন্য সিনিয়রের কাছে আরজিটি দিতে হবে। সিনিয়র আরজি এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য স্থানে স্বাক্ষর পূর্বক আপনাকে ফেরত দিবেন। 
[post_ads_2]
আরজি সংশ্লিষ্ট সেরেস্তাদারের নিকট দাখিল করা
আপনাদের মামলা যে আদালতে দায়ের করতে হবে সেই আদালতের সেরেস্তাদারের নিকট আরজিসমেত সকল কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। সব ঠিক ঠাক থাকলে সেরেস্তাদার স্বাক্ষরপূর্বক আপনাকে তা ফেরত দিবেন। এবার আরজিটি নিয়ে আপনাকে সংশ্লিষ্ট এজলাসে যেতে হবে। এজলাসে দায়িত্বরত পিয়নের কাছে আরজিটি দাখিল করলে সংশ্লিষ্ট পিয়ন মামলায় দাখিলকৃত সকল কোর্ট্ ফি আদালতে রক্ষিত কোর্ট ফি রেজিষ্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে কোর্ট ফি ছিদ্র করে দিবেন এবং আরজি ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্রে আদালতের সীল লাগিয়ে আরজিটি আপনাকে ফেরত দিবেন।আপনাকে আরজিটি পিয়নের নিকট থেকে নিয়ে পূনরায় সেরেস্তায় গিয়ে সেরেস্তাদারের নিকট দাখিল করতে হবে। এরপর সেরেস্তাদার পূনরায় দেখে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মামলাটি স্যু্ট রেজিষ্ট্রারে লিপিবদ্ধ করবেন।এ সময় আপনাদের মামলার একটি নম্বর ও পরবর্তী তারিখ দিবেন। আপনার কাজ হবে উক্ত নম্বর ও পরবর্তী ধার্য তারিখ নোট করে নিয়ে আপনাদের চেম্বারের ডায়েরীতে তা লিখে রাখা।

অভিন্দন! আপনি আজ খুব সহজেই একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করে ফেললেন। এখন নিশ্চয় অনেকটা সহজ হয়েছে বিষয়টা আপনার কাছে।আর কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে নিচে মন্তব্যের ঘরে জানাবেন।পরবর্তীতে আমরা কার্যকরী অন্য কোন বিষয় শিখবো ইনশাআল্লাহ।
  • [accordion]
    • লেখক সম্পর্কে জানুন
      • পোস্টটি লিখেছেন- [ মোঃ আজাদুর রহমান ##pencil##] তিনি লিগ্যাল ভয়েস ব্লগের এডমিন ও সম্পাদক। পেশাগত জীবনে তিনি আইনজীবী হিসেবে ঢাকা জজ কোর্টে কর্মরত আছেন।
    • ফ্রি আইনি পরামর্শ পাবেন যেভাবে
      • আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠনের মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু হয়েছে। যারা শহরে বসবাস করেন তারা কোন আইনি জটিলতায় পড়লে খুব সহজেই একজন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে আইনি সমস্যার সমাধান করতে পারেন। কিন্তু যারা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন তারা কোন আইন সমস্যায় পড়লে দিশেহারা হয়ে পড়েন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাসের কারণে আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ করা দুরুহ হয়ে পড়ে। ফলে সমস্যা দিন দিন জটিল হতে থাকে। সঠিক পরামর্শের অভাবে অনেকেই সঠিক পদক্ষেপ না নিয়ে পরিস্থিতি আরও বেশি জটিল করে তোলেন। ফলে সমস্যা থেকে উত্তরণের কোন পথ তো পানই না উল্টো মানসিক ও শারিরীকভাবে ভেঙে পড়েন। তাদের কথা মাথায় রেখে লিগ্যাল ভয়েস কর্তৃপক্ষ প্রশ্নোত্তর বিভাগ চালু করেছে। আপনি খুব সহজেই আমাদেরকে আপনার আইনি সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। পাবেন আইনি সমস্যা থেকে উত্তরণের সঠিক পথ। আমাদের প্রশ্নোত্তর বিভাগে যুক্ত হতে [ এখানে ক্লিক করুন। ] 
    • আপনিও লিখুন আমাদের ব্লগে!
      • সুপ্রিয় লিখিয়ে পাঠক! আপনি জেনে নিশ্চয় আনন্দিত হবেন যে, আইন সচেতন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের এই উদ্যোগ। চাইলে আপনিও হতে পারেন এই গৌরবের একজন গর্বিত অংশীদার। আমাদের ব্লগে নিবন্ধন করে আপনিও হতে পারেন আমাদের সম্মানিত লেখক। লিখতে পারেন আইন-আদালত, পরিবেশ, ইসলামী আইন যেমন কোরআন, হাদিসের আইনগত বিষয়, প্রাকৃতিক আইন, বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কিত প্রতিবেদন বা অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি, অন্যায়, দূর্নীতি, হয়রানী, ইভটিজিং, বেআইনী ফতোয়া, বাল্য বিবাহ ইত্যাদিসহ যাবতীয় আইনগত বিষয়াবলী নিয়ে। আমাদের ব্লগের সদস্য হোন আর হারিয়ে যান জ্ঞান বিকাশের এক উন্মুক্ত দুনিয়ায়!
    • আমাদের কথা
      • লিগ্যাল ভয়েস হলো দেশের  সর্ববৃহৎ এবং একমাত্র আইন সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। প্রতিনিয়ত আমাদের সমাজের মানুষ সচেতনভাবে কিংবা অসচেতনভাবে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন আইনগত জটিলতায় পড়ে জীবন নষ্ট করে ফেলছে। অনেক সময় আইন না জানার কারণে আমাদেরকে বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। একটু আইন জানলে হয়তো এসব ভোগান্তি হতে নিজেকে রক্ষা করা যেত। আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ হলো আইন না জানা কোন অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ কেউ কোন অপরাধ করে যদি বলে আমি আইনটি জানতাম না। জানলে এই অপরাধ টি করতাম না। আইনে এই অজুহাতের কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই। কাজেই আইন জানা ছাড়া আমাদের অন্য কোন বিকল্পও নেই। দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে আমাদের বিভিন্ন আইনী জটিলতায় পড়তে হয়। তাই আইন কানুন সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আবশ্যক। আইন জানা আমাদের জন্য এমন অপরিহার্য্য বিষয় হলেও আইন জানার জন্য আমাদের দেশে ভাল কোন প্ল্যাট ফর্ম নেই। বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজ গুলোর বিষয় আলাদা। তাই সাধারণ মানুষের দোর গোড়ায় টুকিটাকি আইন কানুন পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই ২০১৮ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে লিগ্যাল ভয়েসের যাত্রা শুরু। আইন সচেতন সোনার বাংলা গঠন করাই লিগ্যাল ভয়েসের মূল উদ্দেশ্য। বিভিন্ন লেখনীর মাধ্যমে লিগ্যাল ভয়েস সাধারণ মানুষের আইন শেখার পিপাসা নিবারণ করে থাকে। এ ছাড়া লিগ্যাল ভয়েস যে কোন ধরনের আইনগত সমস্যায় বিনা খরচে পরামর্শ প্রদান করে থাকে। আমাদের সাথে থাকার জন্য সকল পাঠককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ।

১টি মন্তব্য

  1. নতুন আইনজীবিদের জন্য খুব-ই উপকারী পোস্ট , ধন্যবাদ লেখক ও এডমিন কে,